Home » শিলাইদহে নেই কোনো জাতীয় আয়োজন

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস ২২ শ্রাবণ

শিলাইদহে নেই কোনো জাতীয় আয়োজন

কর্তৃক আবুল কাসেম অনুরাগী
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি 745 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস ২২ শ্রাবণে শিলাইদহে নেই কোনো জাতীয় আয়োজন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম প্রয়ান দিবস পালন উপলক্ষে কবির স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে জাতীয়ভাবে আনুষ্ঠানিকতার কোনো আয়াজন করা হয়নি।
তবে শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান আল আমিন জানিয়েছেন, জাতীয়ভাবে কোনো কার্যক্রম না থাকলেও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুপুর আড়াইটা থেকে বকুলতলায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে।
এছাড়া কুষ্টিয়া শহরের টেগর লজ ও পৌরসভায় খণ্ড খণ্ড নানা আয়াজনে স্মরণ করা হবে বিশ্বকবি রবীদ্রনাথ ঠাকুরর ৮২তম মহা প্রয়ান দিবস। তবে বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস জাতীয়ভাবে পালন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রবীন্দ্র ভক্ত অনুরাগীরা।
১৮৮৯ সাল জমিদারি পরিচালনা করতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহে আসেন রবীদ্রনাথ ঠাকুর। এখানকার ছায়াশীতল পরিবশ, বিশেষ করে পদ্মার রূপে মুগ্ধ হন তিনি। যা গীতাঞ্জলী কাব্যে রবীন্দ্রনাথকে নবেল পুরস্কার এনে দিয়েছিল। তার অনেক কাজই হয়েছে এখান।
তিনি এখানে বসেই জাতীয় সঙ্গীত রচনা ও এর সুর করছেন। সেই সঙ্গে রচনা করেছন অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য। এছাড়া কৃষি, যোগাযোগ, চিকিৎসা, শিক্ষা ও উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রেখেছেন কবিগুরু। তিনি শুধু প্রজাদের কল্যাণই নয়, বীজ বপণ করেছেন অসাম্প্রদায়িকতার। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষণ করা আছে এসব দিনের নানা স্মৃতি।
এই মহামানবের প্রয়াণ দিবস শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সংস্কৃতির বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়া অঞ্চলের মানুষ।
১৯৪১ সালের সাত আগস্ট মারা যান বিশ্বকবি, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে সেই দিনটি ছিল ২২শে শ্রাবণ। এদিন দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে তার শেষ নিশ্বাসের মধ্য দিয়ে অস্ত যায় বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভা।
দুপুর তিনটার দিকে জোড়াসাঁকো থেকে লাখো জনতার শবযাত্রায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা মহাশ্মশানের উদ্দেশে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন