Home » গাংনীর জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

গাংনীর জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

কর্তৃক Shariar Imran Mati
সূর্যোদয় প্রতিবেদক 48 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

আজ রবিবার (২৬ এ জানুয়ারি) গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সকাল দশটার সময় এ পিঠা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করা হয়।

বাংলার ঐতিহ্য পিঠা পুলির সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রবিবার ২৬ এ জানুয়ারি) পিঠা উৎসব হয়েছে।

বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের হাতে তৈরি হরেক রকমের পিঠা নিয়ে হাজির হন শিক্ষার্থীরা। উৎসবে মানুষের ঢল নামে। তারুণ্যের মেলা উপলক্ষে জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল রকিব এর সঞ্চালনায় আজকের এই পিঠা উৎসব পরিচালিত হয়।

এ পিঠা উৎসবের শুভো উদ্বোধন করেন গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক স্যার

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হেসনে মোবারক স্যার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আজহার আরশি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা আইসিটি অফিসার আব্দুর রকিব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধানখড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, বাঁশবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলিমুজ্জামান, থলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন গাংনী পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মমিনুজ্জামান, আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ, গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বাবলু।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০টি স্টলে শোভা পায় হরেক রকমের পিঠা। এরমধ্যে রয়েছে হৃদয়হরণ, ভাপা, পাটিসাপটা, গকুল, দুধকুলি, চিতয়,জামায় সামকপিটা সহ নানা ধরনের পিঠা।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উষ্ণ জানান, পিঠা খাওয়ার স্মৃতি সবারই কম বেশি রয়েছে।

আরেক শিক্ষার্থী জানান, এক সময় শুধু গ্রামের মানুষই পিঠা খেতো। শহুরে ব্যস্ততার কারণে পিঠার স্বাদ নিতে নগর বাসীদের কেউ গ্রামে গিয়ে পিঠা খেয়ে আসতো। কিন্তু এখন সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে। এখন গ্রামের মতো শহরেও শীতের সময় সব ধরনের পিঠা পাওয়া যায়।

জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম বলেন, আমাদের দেশে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এছাড়া বাড়িতে অতিথি এলে কম করে হলেও দু-তিন পদের পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য ম্লান হয়ে আসছে।

প্রধান অতিথি বলেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছিল আমরা যদি প্রতি বছরের ন্যায় যদি এই পিঠা উৎসব করতে পারি তাহলে আমাদের ফিরে পাব।

এ সময় জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় এলাকার গণমানব ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সকলেই বলেন ভাবে যদি প্রতিবছর প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব পালন করা হয় তাহলে গ্রাম বাংলার সাংস্কৃতি ফিরে পাব।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.