কােটি টাকার দুর্নীতির দায়ে মেহেরপুরের গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের নামে দুদকের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। তবে তার নামে দুটি ব্যাংকে একাউন্টে পাওয়া গেছে ১ লাখ ৯২ টাকা।
এছাড়াও আফজাল হোসেন ও তার ছোট মেয়ে সুজানা পারভীনের নামে মেহেরপুর প্রধান ডাকঘরে ২০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এ তথ্যও তিনি গোপন করেছেন।
আফজাল হোসেন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী দাখিল করেছেন তাতে গোপন করা হয়েছে ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৪৯ টাকা। মামলার আর্জিতে সার্বিক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে আফজাল হোসেনের মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪৮০ টাকা। তার চাকুরির বেতন ভাতাদিসহ আর্থিক সুবিধা আয়, গৃহসম্পতি আয় ও কৃষি আয় রয়েছে। যার মাসিক আয় হিসাব করে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫৩৬ টাকা। এ সম্পদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান টিমের কাছে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন কোন প্রকার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। এ টাকার সম্পদ অর্জন করে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। যার বিচারের লক্ষ্যে মামলাটি দায়ের করেছে দুদক।
এদিকে গতকাল বুধবার মামলাটি রেকর্ড করেছেন দুদক সমন্বিত কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক সৈয়দ মাইদুল ইসলাম। দুদক আইনে মামলাটির বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে দুদক সুত্রে জানা গেছে।