গাংনী প্রতিনিধিঃ
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার রংমহল সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ মোট ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ভোররাতে ১৩৬ ও ১৩৭ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলার পয়েন্ট দিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংমহল বিওপির কাথুলী ক্যাম্প সূত্র জানায়, ভারতের নদীয়া জেলার মুরুটিয়া সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ এই ৮ জন বাংলাদেশিকে ঠেলে দেয়। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, তিনজন নারী এবং দুটি শিশু রয়েছে। পরে সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনকভাবে চলাফেরার সময় বিজিবির টহল দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং কথাবার্তায় অসঙ্গতি পেয়ে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, টিটু শেখ (৪৫) , আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ময়মনসিংহ, আমিনুল ইসলাম (২৮) দৌলতপুর, খুলনা, আবেজান খাতুন (৪০) নড়াইল, ফাইমা আক্তার (২৭) জামালপুর নাছিমা আক্তার (৩৬) জামালপুর, শিশু রহিম (৫) ও শিশু রোহান (৩)।
বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৪৭ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, এরা সবাই দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা এবং দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। বিএসএফ অবৈধভাবে অবস্থানকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশ-ইন করে। আমরা তাদের হেফাজতে নিয়েছি এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, বিজিবি আটজনকে থানায় সোপর্দ করেছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সীমান্তে এ ধরনের পুশ-ইন আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মানবাধিকারকর্মীরা মনে করছেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুকে জোরপূর্বক পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনা মানবিকভাবে উদ্বেগজনক।