কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দারোগামোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার লাখ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়িসহ একটি ইঞ্জিন চালিত নসিমন জব্দ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি), বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নসিমন চালককে আটক করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে নকল আকিজ বিড়ি ও কমদামী অবৈধ বিড়ি উৎপাদন করে আসছে। দৌলতপুর উপজেলার দারোগামোড় এলাকা থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নসিমনে করে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ ও বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি), বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী দৌলতপুর উপজেলার দারোগামোড় এলাকায় অভিযান ও তল্লাশি চালায়।
এসময় একটি ইঞ্জিন চালিত নসিমন থেকে ১৫ বস্তায় চার লাখ (৪,০০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি জব্দ করা হয়। অভিযানকালে নসিমন চালক ইমারুলকে (৫৫) আটক করা হয়। অভিযানে জব্দকৃত নকল আকিজ বিড়ি প্রথমে বিজিবি ক্যাম্প এবং পরবর্তীতে দৌলতপুর থানায় পাঠানো হয়। অভিযান শেষে চালক ইমারুল (৫৫) এবং নকল বিড়ির মালিক কাবিল মোল্লার (৪০) বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে দৌলতপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। আটককৃত আসামী ইমারুলকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান এবং বিজিবির নায়েব সুবেদার মোঃ রফিকুল ইসলাম অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ জানান, অভিযানে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল আকিজ বিড়িসহ একটি নসিমন জব্দ করা হয়েছে। নসিমন চালককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।