Home » অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের মামলায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সহ ২৩ জন আসামি

অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের মামলায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সহ ২৩ জন আসামি

কর্তৃক আবুল কাসেম অনুরাগী
সূর্যোদয় প্রতিবেদক 69 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

 

 

মেহেরপুর জেলা জামায়াত ইসলামের তৎকালীন আমীর হাজী ছমির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অপরাধে ১১ বছর পর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী গোলাম রসুলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ২৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে দিকে মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আলহাজ্ব ছমির উদ্দিনের ছেলে তাওফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ এর ৪(১) (২) উপধারা (১)/৫(১) তৎসহ দণ্ডবিধি আইনের ৪৩৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন আদালতের বিচারক শারমিন নাহার মেহেরপুর সদর থানাকে মামলাটি সরাসরি এফআইআরের নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, বড়বাজার এলাকার যুবলীগ নেতা শ্রী কাজল দত্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, নীলমনি সিনেমা হলপাড়ার যুবলীগ নেতা মাহবুব হোসেন, ১ নং ওয়ার্ডের জুয়েল হোসেন , মল্লিকপাড়া এলাকার যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান পলেন, শাহাজিপাড়ার সজল হোসেন, পন্ডেরঘাট এলাকার বায়েজিদ হোসেন, স্টেডিয়ামপাড়ার তুফান আলী, গোভীপুর গ্রামের গোলজার হোসেন, রাঁধাকান্তপুর গ্রামের জুয়েল রানা, শহরের পিয়াদাপাড়া এলাকার তৌহিদ হোসেন, চক্রপাড়ার নাসির হোসেন, গোরস্থান পাড়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনন্দ, নতুনপাড়ার রাজীব হোসেন, বামনপাড়ার মেম্বার দরুদ আলী, বন্দর গ্রামের মমিন আলী, একই গ্রামের আলতাব হোসেন মুহুরী, রাঁধাকান্তপুর গ্রামের সাজু, একই গ্রামের সামিরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক কর্মী বোসপাড়ার নিসান সাবের ও লর্ড মার্কেট এলাকার আসলাম খান পিন্টু।

বাদি তার আরজিত উল্লেখ করেছেন, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আসামীরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র, বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, জিআই পাইপ, দা, শাবল, ধারালো হাঁসুয়া, ছিপদা, রামদা, পেট্রোল বোমা ও পেট্রোল সহ  নানা প্রকার দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত তারিখে তথাকথিত আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল নামক কোর্টের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাচ্ছিরে কোরআন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষনার পর পরই ১ ও ২ নং আসামীর নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল সহকারে “একটা দুইটা জামাত ধর, সকাল বিকাল নাস্তা কর ” “জামাতের আস্তানা, এই বাংলায় রাখবো না ” সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে মেহেরপুর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করার সময় শহরের কমিউনিটি সেন্টারের সামনে অবস্থিত আমাদের বাড়ির সামনে আসে আসামীরা তাদের হাতে থাকা শাবল দিয়ে বাড়ীর নিচ তলার বড় ভাই তারিক মোঃ সাইফুল ইসলামের মালিকানাধীন “মেসার্স তাওহীদ অটো” নামক মোটর সাইকেল পার্টস ও খুচরা যন্ত্রাংশের দোকানের সামনে সার্টার ও তালা ভাংচুর করে। আসামীরা ছাড়াও অজ্ঞাত আসামীগণ দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে সমস্ত মালামাল লুটপাট করে। তারা ক্যাশ বাক্স থেকে ৮৫ হাজার টাকা চুরি করে নেই। একপর্যায়ে পেট্রোল ঢেলে গ্যাস লাইট দিয়ে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেই।

ঐ ঘটনায় পবিত্র কোরআন শরীফেও আগুন ধরিয়ে দেয়। (যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করে)। দোকানে থাকা টায়ার ও টিউব ব্যাটারীতে আগুন লাগায় আগুনের ভয়াবহ লেলিহান শিখায় দোকানের কাঠের র‍্যাক, শো-কেস সহ সমস্ত জিনিস পত্রাদি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের কারনে বিল্ডিংয়ের ছাদের ঢালাই পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ছাদের রড পর্যন্ত গলে বাঁকা হয়ে যায়। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রায় ৩০-৩২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বাদী।

 

 

 

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.