পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুর মেরে কলেজ ছাত্র মোঃ আরাফাত হোসেন (১৯) কে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে গাংনী উপজেলা শহরের লাভলু হোসেন ও তার ছেলে রাজুসহ কয়েকজনে।
আহত মোঃ আরাফাত হোসেন গাংনী পৌরসভার নয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এনামুল হকের ছেলে ও সে মেহেরপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত। ঘটনাটি গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটে লাভলুর সেলুনের দোকানের সামনে ঘটে। আহত আরাফাত হোসেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এঘটনায় লাভলু তার ছেলে রাজুসহ ৫/৬ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় আরাফাত হোসেন, লাভলু হোসেনের সেলুনের সামনে তার মোটরসাইকেল রাখায় লাভলুর ছেলে রাজু অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। এর প্রতিবাদ করাই সেলুনের ভিতর থেকে লাভলু এসে খুর দিয়ে গলা বরাবর পোস দেই। এসময় গলা সরিয়ে নিলে আরাফাত হোসেনের নিচের ঠোঁট থেকে গলা পর্যন্ত কেটে যায়। তার শরীরে তিনটি স্থানে গুরুতর জখম হয়। এসময় স্থানীয়রা ছুটে এলে লাভলু হোসেন ও তার লোকজন পালিয়ে যায়।
গাংনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইনসারুল হক ইনসু বলেন, পূর্ব পরিকল্পনায় তুচ্ছ ঘটনায় ভাতিজা আরাফাত হোসেনকে হত্যার প্রচেষ্টা করেছে। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
কলেজ ছাত্র আরাফাতের পিতা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এনামুল হক জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।
এদিকে তুচ্ছ ঘটনায় কলেজ ছাত্রকে খুর চালিয়ে হত্যা চেষ্টার অপরাধে বিক্ষুব্ধ জনতা তার সেলুনের দোকানে হামলা চালায়। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।