মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম তোতা এবং আমাম হোসেন মিলুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৩ জন আহত।
আহতরা হলেন- তোতা গ্রুপের ইসলাম শেখ (৬০), রাজন আলী (২৬), শাহাজাহন আলী (২৫), আব্দুস সাত্তার (৫৫) আনারুল ইসলাম (৫০) ও মিলু গ্রুপের রাসেল শেখ (২৩), শাহেদ আলী (২৫), শাহাবুদ্দীন (৫০), উজ্জ্বল (৩২), রমজান আলী (২১), মেহেরাব হোসেন (২২), সৌরভ মেম্বার (৪৭), হাবিবুর রহমান (২২)। আহতদের মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইসলাম শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাসেল মিয়া মহাজনপুর গ্রামের কলিমুদ্দিনের ছোলে, সোহরাব হোসেন কালু কিতাব আলির ছেলে, জাহান নবী সুন্নত আলীর ছেলে, শাহিন রানা জয়মুদ্দিনের ছেলে, মেহেরাব কিতাব আলীর ছেলে, উজ্জল হোসেন নিয়ত আলীর ছেলে, রমজান গোলাম রহমানের ছেলে, হাবিবুর রহমান ফিরাজুল ইসলামের ছেলে, শাহাবুদ্দিন সিতাব আলির ছেলে, রাসেল কলিমউদ্দিনের ছেলে, ইসলাম লোকমান হোসেনের ছেলে, আব্দুস সাত্তার বেটুল আইজুদ্দিনের ছেলে, আনারুল ইসলাম লোকমানের ছেলে এবং ভনা আলি হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী আমাম হোসেন মিলুর সমর্থকরা মহাজনপুর গ্রামে নির্বাচনী অফিস করার লক্ষ্যে মিছিল নিয়ে রওনা হন। পথিমধ্যে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতার সমর্থকরা ওই স্থানে তাদের নির্বাচনী অফিসে অবস্থান করছিল। এসময় দুই গ্রুপের সমর্থকের মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকলে দুই পক্ষের ছোড়া ইট ও লাঠির আঘাতে দুই পক্ষের ১৩ জন সমর্থক আহত হন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাম হোসেন মিলু জানান, আমার সমর্থকরা অফিস উদ্বোধন করার লক্ষ্যে মিছিল নিয়ে রওনা হলে প্রতিপক্ষের সমর্থক হেলালের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালাই।
মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তোতা বলেন, আমার সমর্থকরা নির্বাচনী অফিসে বসে ছিল। এ সময় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
