Home » বাগান যেন শিল্পীর তুলির আচড়ে আঁকা ক্যানভাস

বাগান যেন শিল্পীর তুলির আচড়ে আঁকা ক্যানভাস

কর্তৃক আবুল কাসেম অনুরাগী
সূর্যোদয় প্রতিবেদক 111 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃ ২৮-১২-২৩ ইং।

ভোরের আলো ফুটেছে। সূর্যের কিরণ এসে পড়ছে বাগানের প্রতিটি গাছের পাতায়। বিচিত্র প্রজাতির বিভিন্ন গাছের প্রতিটি পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু সূর্যের আলোয় যেন মুক্তার মতো ঝলমল করে উঠেছে। সারারাত শিশির সিক্ত হয়ে ভোরের আলো পেতেই মেলে ধরেছে তাদের সৌন্দর্য। সুন্দর সাজানো-গোছানো বাগানে খেলা করছে ভ্রমর আর প্রজাপতির দল। চারদিকে ফুটেছে বিচিত্র রকমের দেশি-বিদেশি ফুল। পথচারীরা একটু থেমে গিয়ে দু’চোখ ভরে সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, কেউবা আবার মুঠোফোনে বাগানের সৌন্দর্য ফ্রেমবন্দি করছেন। এ যেন বাগান নয়, কোন শিল্পীর তুলির আঁচড়ের ক্যানভাস। এমনই নান্দনিক দৃশ্য চোখে পড়ে এক স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বাড়ির আঙ্গীনায়। তিনি হচ্ছেন- মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী কাজিপুর সড়কের বালিয়াঘাট গ্রামের ঠিক রাস্তার কোলঘেষে স্বাস্থ্য পরিদর্শক রাশেদুল ইসলামের বাড়ি। গাছে গাছে ফুলের সমাহার। বিভিন্ন রঙ্গের ফুল ফুটেছে গাছে। তেমনি মাটিতে ঝরে পড়ছে রাতের আঁধারে ফোটা শিউলি। ফুলে ফুলে ভ্রমরের গুঞ্জন আর প্রজাপতির খেলা যেন এক অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি করে। আকর্ষণ করে পথচারিদের। স্বল্প পরিসরে হলেও বাগানটিতে রয়েছে দেশি বিদেশী ৫০ জাতের ফুল। বিশেষ করে হাসনাহেনা, টগর, দোলনচাপা, জুঁই, চামেলী, বেলি, গোলাপ, বাগান বিলাস, মাধবীলতা, নীলকণ্ঠ, রজনীগন্ধা, বাসরলতা ফুল প্রেমী পথচারীদেরকে বিমোহিত করে।

বিশেষ বিশেষ দিনে বিভিন্ন বয়সীরা আসেন ছবি তুলতে। বিশেষ করে নব দম্পতি আর স্কুল কলেজের শিক্ষাথীদের মিলন মেলায় পরিনত হয় ছোট্ট বাগানটি। সরকারী কাজ কর্ম সেরে বাকি সময় কাটান তিনি বাগান পরিচর্যায়। অনেকেই এই ফুল বাগান দেখে বাগান করার ইচ্ছে পোষন করেছেন। কেউ নিচ্ছেন পরামর্শ। বাগান দেখতে আসা বামন্দী বাজারের কাজী সোহেল রানা বাবু জানান, বাড়ির আঙ্গনা ও ছাদে ফুল চাষ করার জন্য পরামর্শ নিতে এসেছেন। সেই সাথে চারাও নিচ্ছেন তিনি। একই কথা জানালেন ভিটাপাড়ার হুসেন আলী ও গৃহবধু রাহেলা খাতুন। তারা মাঠের জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করবেন বলেও জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম জানান, ছেলে বেলা থেকেই ফুল ও ফুল গাছের প্রতি আকর্ষণ ছিল তার। বিভিন্ন ধরণের ফুলের গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করতেন। লেখাপড়া করার সময় আরো আকর্ষণ বেড়ে যায়। শুধু ফুলের বাগান করার জন্য বাড়ির নকসাঁ পরিবর্তন করেছেন তিনি। চাকরী জিবনে অবসরে ব্যস্ত থাকেন ফুলের বাগান করার কাজে। বিভিন্ন স্থান থেকে ফুলের চারা সংগ্রহ করেছেন। দেশি বিদেশী ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন তিনি। তবে বিশেষ বিশেষ দিনে লোকজন ফুল চুরি করে ও বাগান নষ্ট করে। এতে কষ্ট পান তিনি। গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, যে কেউ ফুল বাগান করতে পারেন। বাড়ির আঙ্গীনা ছাদ পরিত্যক্ত জমিতেও ফুলের আবাদ করা সম্ভব। অনেকেই ফুল গাছ লাগিয়েছেন। স্বাস্থ্য পরিদর্শক রাশেদুল ইসলামের অনুপ্রেলণায় অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে পরামর্শ নিতে আসছেন। কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেয়া হচ্ছে। মজনুর রহমান আকাশ মেহেরপুর মোবা- ০১৭১২৫০৪৪০৩

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন