Home » প্রসঙ্গ স্থানীয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনে প্রকাশিত একটি সংবাদ

একান্ত সাক্ষাতকারে আবুল কাসেম অনুরাগী :

প্রসঙ্গ স্থানীয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনে প্রকাশিত একটি সংবাদ

কর্তৃক আতিক স্বপন
নিজস্ব প্রতিবেদক 430 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email
৪ এপ্রিল মঙ্গলবার মেহেরপুরের একটি স্থানীয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনে একটি সংবাদ ফলাও করে ছাপা হয়। শিরোনাম ছিল “গাংনী উপজেলা প্রেস ক্লাব থেকে আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আবুল কাসেম বহি:স্কার”‘
দৈনিক আমাদের সূর্যোদয়ের প্রকাশক আবুল কাশেম অনুরাগী বলেন ৩ মার্চ দিবাগত রাতে আমি হোয়াটসঅ্যাপে গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবে বিদ্যমান বিভিন্ন রকমের অনিয়ম, অনৈতিকতা ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে স্বেচ্ছায় আমার প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল ধরনের পদ-পদবি ও দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিই। পরবর্তীতে আমাদের সূর্যোদয়ের ফেসবুক পেজ সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টির আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছি।
মেহেরপুর প্রতিদিনে খবর পড়ার পর অনেকেই আমাকে যখন ফোনে জিজ্ঞাসা করে তখন আমি ব্যাপারটি সম্পর্কে জানতে পারি। সংবাদ প্রকাশের ও সাংবাদিকতার কিছু স্বীকৃত নিয়ম ও নীতি আছে। গাংনী প্রেস ক্লাব থেকে আমাকে বহিষ্কারের যে সংবাদটি মেহেরপুর প্রতিদিন তাদের ছাপা সংস্করণ,ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে সে সম্পর্কে আমি মোটেও অবগত না।  মেহেরপুর প্রতিদিনের পক্ষ থেকেও আমার কোন বক্তব্যও নেয়া হয়নি। অথচ তারা সংবাদ প্রকাশ করে ফেলেছে। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে। অবশ্য এ ধরনের কাজ মেহেরপুর প্রতিদিন এবারই প্রথম না ইতিপূর্বেও অনেকবারই করেছে মেহেরপুরের অনেক প্রতিথযশা গণমাধ্যম কর্মীদের হেয় প্রতিপন্ন করে।এটা কি ধরনের সু-সাংবাদিকতা, এভাবে কি ইচ্ছা করলেই সংবাদ প্রকাশ করা যায়? এটাই আমার প্রশ্ন।’ এধরনের অপ-সাংবাদিকতার কারণেই মেহেরপুর প্রতিদিনের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলাও হয়েছিল।
প্রকাশিত সংবাদে কোন প্রমাণ বা তথ্যসুত্র প্রকাশ না করে দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় প্রকাশক আবুল কাসেম অনুরাগীকে বহি:স্কার প্রসঙ্গে মেহেরপুর প্রতিদিনে গাংনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এ লিংকনের বক্তব্য কোট করা হয়। বক্তব্যটি এরূপ ‘ প্রেস ক্লাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, শৃংখলা ভঙ্গসহ নানা অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় প্রেস ক্লাবের সকল সদস্যদের তাৎক্ষনিক মতামত নিয়ে তাকে চুড়ান্তভাবে বহি:স্কার করা হয়েছে। এনিয়ে একটি রেজুলেশন করা হয়েছে।’ অথচ সংবাদে অভিযোগের সাপেক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ এমনকি কোন গ্রহণযোগ্য বক্তব্যও নাই।
মেহেরপুর প্রতিদিনে সংশ্লিষ্টদের হয়তো জানা নাই প্রেসক্লাবের মত একটি সংগঠনে তাৎক্ষনিক ভাবে রেজুলেশনে কাউকে বহিষ্কার করা যায়না। আগে শো কজ করতে হয় অতঃপর আনুষ্ঠানিক ভাবে সাধারণ সভা ডাকতে হয়, তারপর আলোচনা সভার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি ও চিঠি ইস্যু করতে হয়।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন ভাবে কাজ করে। কিন্তু স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে আপনি যথেচ্ছাচারীতা করবেন। ইতোপূর্বে পত্রিকাটি মেহেরপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আইনজীবী তুহিন অরন্য সহ ডিবিসি র মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু আক্তার করণ এবং সাংস্কৃতিক কর্মী ও দেশ টিভির মেহরপুর প্রতিনিধি রেক্সোনা কে নিয়ে সচিত্র বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার আজ পর্যন্ত ন্যূনতম কোন সত্যতা বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ব্যাক্তিগত রোষে একজন নারী সাংবাদিককেও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। স্বাধীন  গণমাধ্যমের আড়ালে এধরনের কর্মকাণ্ড সত্যিসত্যিই খুব দুঃখজনক। 
০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন