বাংলার ঐতিহ্য পিঠাপুলির সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে মেহেরপুর সরকারি কলেজে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) পিঠা উৎসব হয়েছে।
বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের হাতে তৈরি হরেক রকমের পিঠা নিয়ে হাজির হন শিক্ষার্থীরা। উৎসবে মানুষের ঢল নামে। তারুণ্যের মেলা উপলক্ষে মেহেরপুর সরকারি কলেজে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের উদ্বোধন করেন মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শেখ মুহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন ও কলেজের অধ্যক্ষ ডা. একে এম নজরুল কবির।
কলেজের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ২২টি স্টলে শোভা পায় হরেক রকমের পিঠা। এরমধ্যে রয়েছে হৃদয়হরণ, ভাপা, পাটিসাপটা, গকুল, দুধকুলি, চিতলসহ নানা ধরনের পিঠা।
কলেজের শিক্ষার্থী তাসনিয়া জানান, পিঠা খাওয়ার স্মৃতি সবারই কম বেশি রয়েছে।
আরেক শিক্ষার্থী সজিব হোসেন জানান, এক সময় শুধু গ্রামের মানুষই পিঠা খেত। শহুরে ব্যস্ততার কারণে পিঠার স্বাদ নিতে নগরবাসীদের কেউ গ্রামে গিয়ে পিঠা খেয়ে আসতো। কিন্তু এখন সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে। এখন গ্রামের মতো শহরেও শীতের সব ধরনের পিঠা পাওয়া যায়।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড.একে এমন নজরুল কবির বলেন, আমাদের দেশে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এছাড়া বাড়িতে অতিথি এলে কম করে হলেও দু-তিন পদের পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য ম্লান হয়ে আসছে।