Home » মেহেরপুর আদালতের স্পেশাল পিপি হলেন সাংবাদিক তুহিন আরন্য

মেহেরপুর আদালতের স্পেশাল পিপি হলেন সাংবাদিক তুহিন আরন্য

কর্তৃক Shariar Imran Mati
22762507 38 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

মেহেরপুরের জ্যেষ্ট সাংবাদিক, আইনজীবি, সমাজকর্মী, সংগঠক মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন মেহেরপুর নারী ও শিশু আদালতের স্পেশাল পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) হিসাবে নিয়োগ লাভ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার আইন মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারী হয়েছে। এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেহেরপুর পৌর কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছেন তাকে। তিনি সর্বত্র তুহিন আরন্য নামেই পরিচিত। ইতোমধ্যে মেহেরপুর জজ আদালতের বিচারকবৃন্দসহ মেহেরপুর পৌর কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মহসিন আলী আঙ্গুর তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এর আগে এই কলেজটির গর্ভনিং বডির সভাপতি ছিলেন পর্যায়ক্রমে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং তার স্ত্রী মোনালিসা ইসলাম।

গত ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রতিষ্ঠানটির নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পান মতিউর রহমান। চলতি বছরের ২২ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক মো: আব্দুল হাই সিদ্দীক সরকার স্বাক্ষরিত পত্রে মতিউর রহমানের মনোনয়ন পরিবর্তনপূর্বক তদস্থলে আইনজীবি মুস্তাফিজুর রহমান তুহিনকে গর্ভনিং বডির সভাপতি হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আজ ১৯ নভেম্বর আইন মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে মুস্তাফিজুর রহমান (তুহিন আরন্য) কে স্পেশাল পিপি হিসাবে নিয়োগ দেওয়ায় খুশি আইনাঙ্গনের আইনজীবিরা।

জ্যেষ্ট সাংবাদিক, আইনজীবি তুহিন আরন্য ৩০ বছরের অধিক সময় সাংবাদিকতা এবং ২০ বছরের অধিক সময় আইনজীবি হিসাবে নিরবিছিন্নভাবে নিয়োজিত আছেন। তিনি ৯০ সালের জনপ্রিয় দৈনিক জনতা পত্রিকায় কাজ করে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ৮ বছর দাপটের সাথে কাজ করার পর তিনি দেশের প্রথম রঙিন পত্রিকা বাংলাবাজার পত্রিকায় যোগ দেন। সেখানে ৫ বছর কাজ করার পর তিনি খন্ডকালীনভাবে দৈনিক ইনকিলাব এবং ইত্তেফাক পত্রিকায় কাজ করেন। পরবর্তীতে দেশের সর্ববৃহৎ পত্রিকা দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকে ১৭ বছর এবং দেশের প্রথম ডিজিটাল টেলিভিশন এনটিভি’র জন্মলগ্ন থেকে ১৩ বছর একই সাথে কাজ করে সর্বত্র আলোচিত ও পরিচিত হন। তার সাহসী অনুসন্ধানী অনেক রিপোর্ট আজও পাঠকের কাছে শ্রেষ্ঠত্বের স্থান হয়ে আছে। পরবর্তীতে প্রথম আলো এবং এনটিভি ছেড়ে তিনি যোগ দেন নিউজ২৪ টেলিভিশনের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি হিসাবে এবং দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকার মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার আঞ্চলিক প্রতিনিধি হিসাবে।

বর্তমানে তিনি ষ্টাফ রিপোর্টার সাউথ এন্ড ওয়েস্টার্ণ জোন বাংলাভিশন টেলিভিশন এবং জেলা প্রতিনিধি দৈনিক দেশ রূপান্তর ও দেশের জনপ্রিয় প্রথম ডিজিটাল নিউজপাের্টাল বিডিনিউজ২৪ ডটকম সাথে যুক্ত আছেন। তিনি কিছুদিন জাতীয় দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তুহিন আরন্য ২০০০ সালে আইনজীবি হিসাবে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যোগদান করেন এবং মেহেরপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য লাভ করেন। আইন পেশায় যুক্ত থাকাকালে তিনি মেহেরপুর জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সরকারী আইন কর্মকর্তা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এবার তিনি প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসাবে নিযুক্ত হলেন।

মেহেরপুরের সামাজিক কর্মকান্ডে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। সামাজিক কর্মকান্ড হিসাবে সংগঠন “স্বপ্ন” মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক সহযোগীতা নিয়ে তিনি বিভিন্ন সড়ক পাশের বনায়ন, শীতার্তদের বস্ত্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিদ্যালয় স্থাপন, অসুস্থ অদম্য মেধাবীদের চিকিৎসা ব্যয় ছাড়াও তারুণ্যেকে মেলে ধরতে তিনি দেশের বৃহৎ আকারের গণিত উৎসব আয়োজন, মেহেদী উৎসব, ফানুস উৎসব, তারুণ্য উৎসবসহ অসংখ্য বড় বড় আয়োজন করে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন।

এই সমস্ত কাজ করতে গিয়ে তিনি বিগত আমলে নানামুখী চাপে পড়ে অনেকটাই পিছিয়ে যান। ফ্যাসিষ্ট সরকার তার সুনাম নষ্ট করতে বিগত দিনে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, কারাবরণসহ নানামুখী ষড়যন্ত্র শিকার হন। বিগত সরকারের জনপ্রশাসনমন্ত্রীর নির্দেশে কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হেনস্তা করে। নতুন দায়িত্বগ্রহণ প্রসঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন (তুহিন আরন্য) বলেন,দায়িত্ব পাওয়ার চাইতে পালন গুরুত্বপূর্ণ। যদিও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিগত দিনে ভালো মন্দ অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। তারপরও মেহেরপুরের বিচারপ্রার্থী মানুষকে ন্যায় বিচারসহ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই। পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নয়নে তিনি সকলের সাহায্য ভাল কিছু করতে চাই। তার দীর্ঘ এই পথচলায় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সহ সকলের সাহায্য কামনা করেছেন।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.