গাংনী উপজেলার সহড়াবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ডোবায় পাওয়া মৃত নবজাতকের পিতৃপরিচয় পাওয়া গেছে। সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যা শিশুটিকে হত্যার পর বাড়ির পাশে দুবাই ফেলে যায় পিতা আব্দুস সালাম। নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় শিশুর মা চুমকিকে। শিশুর পিতা হিসেবে নিজেই স্বীকার করেছে আব্দুস সালাম। তবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
জানা গেছে সালাম বহু বিবাহের অভ্যস্ত। এর আগেও সে তিনটি বিয়ে করে। যৌতুক সহ নানা কারণে স্ত্রীদেরকে তালাক দেয়। সর্বশেষ বিয়ে করে সিন্দুর কৌটা গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে চুমকিকে। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না।
বছর দেড়েক আগে চুমকি গর্ভবতী হয়। সে সময় ক্লিনিকে পরীক্ষার পর জানা যায় গর্ভে রয়েছে কন্যা সন্তান। পাসন্ড সালাম একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভের ওই সন্তানকে নষ্ট করে দেয়। নয় মাস আগে আবারো গর্ভবতী হয় চুমকি। নানা অজুহাতে এবারের সন্তান আল্ট্রাসনো করে পরীক্ষা করেনি চুমকি।
গত শনিবার রাত্রে প্রসব বেদনা ওঠে চুমকির। শেষ রাতে জন্ম দেয় ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের। এতে নাখোশ হয় সালাম। মায়ের কোল থেকে শিশুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে ডোবায় খেজুর গাছের তলে শিশুটিকে ফেলে রাখে। নির্যাতন করে স্ত্রী চুমকিকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় তার বাপের বাড়িতে।
রোববার বেলা 11 টার দিকে দুবার পাশে ফেলে রাখা নবজাতকের লাশ নিয়ে কুকুরে টানাটানি করলে চোখে পড়ে প্রতিবেশী গৃহবধূ হেনা বেগম। তিনি বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পথচারীদের জানালে তারা পলিথিনে মোড়ানো মৃত নবজাতক টি উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় হেমায়েতপুর ক্যাম্প পুলিশের একটি টিম ঘটনা স্তলে এসে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে প্রেরণ করে।
নবজাতকের পিতা আব্দুস সালাম দাবি করেছেন, সন্তানটি তার হলেও তিনি হত্যারকরেন নি। স্ত্রী চুমকী সন্তানকে ফেলে বাপের বাড়ি চলে গেছে। বিষয়টি পরে তিনি জানতে পারেন।
আব্দুস সালামের এই নবজাতক হত্যাকান্ডে তার শাস্তির দাবি করেছেন গ্রামবাসি।
এবিষয়ে গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইলকে অবগত করা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।