Home » গাংনীতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আত্মহত্যার লাশ দাফন

ওসি বললেন, বিধান ক'টা মানা হয়?

গাংনীতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আত্মহত্যার লাশ দাফন

কর্তৃক আবুল কাসেম অনুরাগী
নিজস্ব প্রতিবেদক 78 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

 

মেহেরপুরের গাংনীতে গলায় ফাঁস দিয়ে আয়েশা খাতুন (৫৩) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। আয়েশা লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের স্ত্রী।

রোববার (৩০ জুন), ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ভোর রাতে ফজরের সালাত শেষে হাঁস-মুরগি ছেড়ে রান্না-বান্না শুরুর পূর্বেই তিনি টিনের ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। কারণ হিসেবে কেউ কিছু না বললেও মেয়ে শিউলীর সাথে কলহের কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। নিহতের ছেলে সাদ্দাম হোসেন সিংগাপুর অবস্থান করা এবং স্বামী ও মেয়ে বাড়ির দ্বি-তল ভবনে থাকায় বুঝতে না পেরে ঘুম থেকে উঠে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান আয়েশাকে। পরে পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে আশেপাশের বাড়ির লোকজন এসে ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামান।

 

নিহতের মেয়ে শিউলী জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। নিহতের স্বামী আব্দুল ওহাব বলেন, স্ট্রোকজনিত কারণে তার স্ত্রী মারা গেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুল জানান, শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক যন্ত্রণার কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে গ্রামের লোকজনের মধ্যে যদিও ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ তারা। লক্ষীনারায়নপুর এবং আশেপাশের গ্রামগুলোর প্রতিটা মানুষের মুখে মুখে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে মেয়ের সাথে কলহের জের ধরেই এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহতের বাবার বাড়ি হিন্দা গ্রামের লোকজনের মুখেও এ গুঞ্জন রয়েছে। তবে কি করবে ভাগ্নির কারনেই বোন আত্মহত্যা করেছে, এখন এসব কথা বলে আর কি লাভ?

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাংনী থানার এসআই জহির ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, অসুস্থতাজনিত কারণে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা ছিলো কিনা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এটার উত্তর আমি দিতে পারবোনা।

ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের বিষয় নিশ্চিত করে ওসি বলেন, বিধান তো অনেক কিছুই আছে– কটা মানা হয়?

 

 

 

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.