মেহেরপুরের গাংনীতে যুবদল নেতা আলমগীর হোসেনকে হত্যার কারণ হিসেবে পাওনা টাকার বিরোধ নয়, দলীয় ক্ষমতার দ্বন্দ্বকেই দায়ী করছেন পুলিশ। ২২শে জানুয়ারি বুধবার দুপুরে মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডিবি ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো রবিউল ইসলাম বিপ্লব, জনি ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম শফি, আলমগীর হোসেন ও মাফিকুল ইসলাম।”
পুলিশ সুপারের তথ্য মতে, নিহত আলমগীর হোসেন ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর দেশে ফিরে পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এতে মাফিকুল ইসলাম মাফি, যিনি তার অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন, প্রভাব হারানোর শঙ্কায় পড়েন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের হলেন ১। মোঃ রবিউল ইসলাম (৩৬) পিতাঃ রইচ উদ্দিন, সাং- চৌগাছা ০৪ নং ওয়ার্ড, গাংনী পৌরসভা, থানা- গাংনী, জেলা- মেহেরপুর।
২। মোঃ মফিকুল ইসলাম (৩৯) পিতাঃ মোঃ আব্দুল আওয়াল, সাং-বাঁশবাড়িয়া (পশ্চিমপাড়া), থানা- গাংনী জেলা- মেহেরপুর।
৩। মোঃ আলমগীর হোসেন (৪০), পিতাঃ মোঃ জামাত আলী, সাং- কোদাইলকাটি, থানা- গাংনী, জেলা- মেহেরপুর।
৪। মোঃ জনি ইসলাম (২০), পিতা- মোঃ মিনারুল ইসলাম সাং- মিনাপাড়া, ইউপি- ষোলটাকা, থানা- গাংনী, জেলা- মেহেরপুর।
৫। মোঃ হাসিবুল ইসলাম (২১), পিতা- মোঃ লোকমান ইসলাম সাং- মিনাপাড়া, ইউপি- ষোলটাকা, থানা- গাংনী, জেলা- মেহেরপুর।
৬। আসামী মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি (৪২), পিতা- মৃত হযরত আলী, সাং- ট্যাঙ্গার মাঠ শিশিরপাড়া, ইউনিয়ন- কুতুবপুর, থানা- মেহেরপুর সদর, জেলা- মেহেরপুর।
মামলার বিবরণে জানা গেছে রবিউল ইসলাম বিপ্লব গাংনী পৌর যুবদলের সম্পাদক পদে নির্বাচন করার জন্য আলমগীরের সমর্থন চেয়েছিলেন। কিন্তু আলমগীর তাকে সমর্থন না করায় উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
পুলিশ জানায়, আলমগীরের জনপ্রিয়তা তাকে সভাপতি পদ থেকে সরানো কঠিন করেছিল। এ কারণেই তাকে হত্যা করে মাফিকে ক্ষমতার চেয়ারে বসানোর ষড়যন্ত্র করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।