Home » স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ- মনির হায়দার

স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ- মনির হায়দার

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 36 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

নিজস্ব প্রতিবেদক
“স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা হলো আমাদের গণতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। পাবলিক অফিসের সকল কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ও জনগণের কাছে জবাব দেওয়া আমাদের প্রধান কর্তব্য।” বলে দাবী করেছেন প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারি মনির হায়দার। তিনি আরও যোগ করেন, “জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য বাদে সকল সরকারি তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সাংবাদিকদের আমরা প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখব না; বরং তাদের কাছে তথ্য উন্মুক্ত করলে সরকারি কাজের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। স্বচ্ছতার এই পরিবেশই সরকারের প্রতি জনসাধারণের আস্থা গড়ে তুলবে।” শুক্রবার বিকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সারের ব্যবহার ও বিপণনের সাথে সম্পর্কিত মেহেরপুর জেলার সকল অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন। সভায় মেহেরপুরের অর্থনীতি ও কৃষি ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিশেষ করে সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “তামাক চাষ হবে, বিদেশে রপ্তানি হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। কিন্তু তামাক চাষে সার ব্যবহারে বিধিনিষেধের কোনো যৌক্তিকতা আমি খুঁজে পাই না। এটি সমাধান করা প্রয়োজন।” তিনি বলেন, এমন একটি ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে যাতে সারের ডিলারদের নিয়ে যেসব অভিযোগ আছে, সেগুলো থাকার আর সুযোগ আর না থাকে। ডিলারের ইচ্ছামতো যে কাউকে সার দিয়ে দিবে বা গোপন মার্কেটে বিক্রি করবে, তা প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বহু শুনেছি, কিন্তু বাস্তবে কতটা ডিজিটাল হয়েছে, আমরা তা টের পাচ্ছি। হাতে লেখা একটি কৃষি কার্ড ছিল, সেটি বিগত ফ্যাসিস্টি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। কোথায় একটি স্মার্ট ডিজিটাল কার্ড হবে, সেটি ডিজিটালাইজড হবে। প্রত্যেক কৃষকের সমস্ত তথ্য সরকারের কাছে থাকবে, কিন্তু বর্তমানে কিছুই নেই। হাতে লেখা কার্ডটি মূলত ২০০৮ সালের, অর্থাৎ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আগে থেকে চালু ছিল। ফ্যাসিস্ট সরকার উন্নয়নের নামে অনেক কিছু করেছে, সেই সাথে কৃষি কার্ডও বন্ধ করে দিয়েছে। কৃষকদের কোন তথ্য সরকারের কাছে না থাকার কারণে এই সমস্যা এখন দেখা দিচ্ছে। সারা বাংলাদেশের জন্য কৃষকদের একটি ডাটাবেজ থাকা অত্যন্ত জরুরি। সভায় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালামের সভাপতিত্বে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, তাজওয়ার আকরাম সাকাফি ইবনে সাজ্জাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল আলম এবং সার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.