মেহেরপুরে সূর্যোদয় ক্লাবের উদ্বোধনী কনসার্টে ভিআইপি পাস বিক্রির অভিযোগে গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টারের ডিরেক্টর আবু আক্তার করণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, তিনি ক্লাবের অনুমতি ছাড়া নিজের সীল ব্যবহার করে ভিআইপি কার্ড বিক্রি করেছেন। নোটিশে ক্লাব জানিয়েছে, “আপনি ক্লাবের কোনো কমিটি বা লিখিত দায়িত্বে নেই। সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদককে জানানো ছাড়া নিজস্ব সীল ব্যবহার করে ভিআইপি পাস বিক্রি করেছেন। এতে ক্লাবের নির্ধারিত টিকিট বিক্রয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। ১২ অক্টোবর বিকেল ৪টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হলে ক্লাব নীতি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” নোটিশে আরও বলা হয়েছে, “আপনার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ক্লাবের কোনো সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম পুনরায় ঘটতে দেওয়া হবে না।” এ বিষয়ে আবু আক্তার করণ জানিয়েছেন, তিনি ক্লাবের কোনো সদস্য নন। তিনি বলেন, “আমি শুধু পাড়ার ক্লাবের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটির প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছি। সাংবাদিকদের পাস বিতরণ ও ভেনু নির্ধারণসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি। বিক্রির কোনো প্রমাণদিতে পারবেনা। মোট ১৫০টি পাস দেওয়া হয়েছে। যা সাংবাদিকদের ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের জন্য দেওয়া হয়েছে। আমি আমার পরিবার বন্ধুর জন্য ৩০ টি পাস নিয়েছি।’আবু আক্তার করণ আরও জানান, “আমি ক্লাবের অনুমতি ছাড়া কোনো অনিয়ম করিনি। ক্লাবের গ্রুপেও আমার অ্যাড আছে। সব কাজ শুধু ক্লাবের সুবিধার্থে করেছি। যদি অভিযোগে আমি দোষী প্রমানিত হয় তাহলে শাস্তি নেব। অন্যদিকে, পাস দেওয়ার অনিয়ম নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি সাংবাদিকদের গত শুক্রবার জানিয়েছিলেন, আমি সূর্য ক্লাব কনসার্টের আয়োজক কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা ৭ তারিখ প্রশাসনিক অনুমতি পেয়ে ৯ তারিখে কনসার্ট করলাম। এক দিনের ব্যবধানে কনসার্ট অনুষ্ঠান তোলাটা খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। এজন্য আমি আমার সহকর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছিলাম। আগামীতে জেমসের কনসার্ট অনুষ্ঠানে এই তিক্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। সূর্য ক্লাবের সাথে গুরু জেমসের এখনো ছয় মাসের চুক্তি আছে। এই ছয় মাসের মধ্যে গুরু জেমস মেহেরপুরে গান করতে আসবেন। আর সূর্য ক্লাব কোন সাংবাদিকের ব্যাক্তিগত কার্ড দেওয়ার দায়ীত্বে থাকলে সেটা তাদের ব্যাপার।” সূর্য ক্লাবের সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি বলেন, “আবু আক্তার করণ ক্লাবের কেউ নয়। তিনি সম্মতি ছাড়া নিজের সিল ব্যবহার ভিআইপি পাস বিক্রি করেছেন। এটি অপরাধ। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং মামলা করা হবে।”
পূর্ববর্তী পোস্ট