বৃষ্টির দোহাই দিয়ে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে বেশিরভাগ সবজি কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। কিছু সবজির দাম আবার কেজি প্রতি শতকও ছাড়িয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এদিকে কাঁচা মরিচের দাম আবারও বাড়ছে। মানভেদে বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা কয়েকদিন আগেও ছিল ২০০ টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজ এর দাম বেড়েছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) কুষ্টিয়ার বিভিন্ন বাজারে এই চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম, তাই বেশি দামেই তাদের কিনে আনতে হয়েছে। সাম্প্রতিক ব্যাপক বর্ষণকে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা।
কুষ্টিয়া বড় বাজার, লাহিনী বটতলা দবির মোল্লা রেলগেট’সহ প্রায় বাজারে একই চিত্র দেখা গেছে। রোববার থেকে এসব বাজারে পটোল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকায়। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এর দর ছিল ৩০ টাকা। এ ছাড়া কাঁকরোল ৪০ থেকে ৮০ টাকায়, বেগুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এদিন কচুরমুখী বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। তিন দিন আগেও ছিল ৪০ টাকা। পুঁইশাক ২০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লালশাক ৩০ থেকে ৬০ টাকায়, মুলা ৪০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। এক সপ্তাহ আগে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ তিন দিন ধরে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। আয় না বাড়লেও বাড়তি দামে সবজিসহ নিত্যপণ্য কিনতে এসে নাজেহাল হচ্ছে নিম্ন ও মাধ্যম আয়ের মানুষ।
এদিকে কুমারখালী পৌর তহবাজারে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ২০০ টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়, ৭০ টাকার বেগুন ১২০ টাকায়, ৭০ টাকার উচ্ছে ১০০ টাকায়, ১০০ টাকার ফুলকপি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৪০ টাকার ঝিঙের দর উঠেছে ৬০ টাকায়; ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ১০ টাকার পেঁপে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ১০ টাকার দুই আঁটি শাক বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। ৩০ টাকার লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, রসুন, আদা, কচুর দাম।
সবজি কিনতে আসা ক্রেতা আনিচ বলেন, বৃষ্টির অজুহাতে সব সবজিরই দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে। মরিচ আগে আধা কেজি কিনতাম। এখন কিনেছেন মাত্র ১০০ গ্রাম।
খুচরা বিক্রেতা দুলাল হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে ক্ষেত নষ্ট হয়ে বাজারে আমদানি কম। সে জন্যই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি সবজির দাম ২০-৩০ টাকা দাম বেড়েছে। শীতকালীন সবজি না আসা পর্যন্ত দাম এমনই থাকতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। তাঁর দাবি, উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর, বাজার মনিটারিং কমিটির সদস্যরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছেন। কোনো অনিয়ম পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে। দামে কারসাজি করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।