সদ্যপ্রয়াত লোকসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনকে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা থেকে সড়কপথে কুষ্টিয়া আসবে তার মরদেহ। এরপর শহরের পিটিআই সড়কের নিজ বাড়িতে রাখা হবে তার মরদেহ। সেখান থেকে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে। পরে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পৌর কেন্দ্রীয় গোরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে,দাফনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কবরের স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে। মা রৌফা বেগম ও বাবা দেলোয়ার হোসেনের কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে।
কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানের গোরখদক(কবর খননকারী) মধু মিয়া নাগরিক টেলিভিশনকে বলেন, পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে
সকাল থেকে কবরস্থানে পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়। নির্ধারিত জায়গাতে কবর খনন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদা পারভীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৩ বছর। তার মৃত্যুতে কুষ্টিয়ার বাড়িতে ভিড় জমেছে স্বজন,বন্ধু ও ভক্তদের। চারদিকে শোকের ছায়া।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা থেকে কুষ্টিয়ায় বড় হন। মাত্র ১৪বছর বয়সে পেশাদার সংগীতজীবন শুরু করেন। ৫৫ বছরের সংগীতজীবনে লালনসংগীতে তিনি গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব এক ঘরানা।‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ ও ‘বাড়ির কাছে আরশিনগর’ সহ বহু জনপ্রিয় লালনগীতি তার কণ্ঠে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। শ্রোতারা ভালোবেসে তাকে ‘লালনকন্যা’ উপাধি দিয়েছিলেন