Home » চুয়াডাঙ্গা জেলায় এক সপ্তাহে ৫৬ জনকে কুকুরের কামড়; রাস্তায় রাস্তায় বেওয়ারিশ কুকুর আতঙ্ক

চুয়াডাঙ্গা জেলায় এক সপ্তাহে ৫৬ জনকে কুকুরের কামড়; রাস্তায় রাস্তায় বেওয়ারিশ কুকুর আতঙ্ক

কর্তৃক আবুল কাসেম অনুরাগী
সূর্যোদয় প্রতিবেদক 123 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

 

চুয়াডাঙ্গা  প্রতিনিধিঃ

দামুড়হুদাসহ জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে কুকুরে কামড়ানো রোগীদের ভীড়। গত এক সপ্তাহে ৫৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করছে। বেশীর ভাগ স্বাস্থ্যসেবার স্থানে নেই কোন অ্যান্টি-র‍্যাবিস ভ্যাকসিন। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা আতঙ্কে পথে চলছে। দেখার বুঝি কেউ নেই।

দামুড়হুদা, জীবননগর, আলমডাঙ্গাসহ জেলা সদর চুয়াডাঙ্গা জুড়ে  বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিশু, পথচারী ও সাধারণ মানুষকে  কুকুর আতঙ্কে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে।  ১ জুলাই হতে গত ১ সপ্তাহে  কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন সেবা কেন্দ্রে ৫৬ জন শিশুসহ নারী, পুরুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন । এসব কুকুর নিধনে সংশ্লিষ্ঠ পৌরসভা ও প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ তেমন না থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন-সুবিধা না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিরাও চরম ভোগান্তি পোয়াচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান ভ্যাকসিন রয়েছে। গত ৬ দিনে অর্থাৎ ১ জুন থেকে ৬ জুন বেলা ৩টা পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে শিশুসহ মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৬ জন।গত শনিবারই সর্বোচ  ৩২ জন কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা জানায় রাতে মোটরবাইক আরোহীর ওপরও কুকুর চড়াও হচ্ছে।

এদিকে, জেলার দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত এখানে  অ্যান্টি-র‍্যাবিস ভ্যাকসিন নেই।  আলমডাঙ্গার গড়চাপড়ার এক মহিলা বলেন,শুক্রবার একটি কুকুর আমার পায়ে  কামড়িয়ে দেয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তারা জানান এখানে ভ্যাকসিন নেই। কিনে এনে দিতে হবে, অথবা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে  দিতে হবে। পরে বাধ্য হয়ে সদর হাসপাতালে এসেছি।

 

 

 

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.