কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মুচলেকা দেওয়ার পরের দিন থেকে ফের চালু হওয়া ড্রাম চিমনির নিষিদ্ধ সেই চার ভাটা আবারো ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদলত। একই সাথে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভাটা পরিচালনার দায়ে চার ভাটা মালিককে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুরের সৈনিক ব্রিকস ও সাগর ব্রিকস এবং হাঁসদিয়ার এম এস কে -১ ও চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা ব্রিজ এলাকার এসএসবি ভাটায় অভিযান চালায় প্রশাসন। ইট প্রস্তুত ও ভাটা ব্যবস্থাপনা ( নিয়ন্ত্রণ) আইনে আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। আদালত পরিচালনায় সহযোগীতা করেন কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক বিপ্লব বিশ্বাস প্রমুখ।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনা করবেন না, এই মর্মে মুচলেকা দেওয়ার পরও নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ব্যবহার করার অপরাধে সৈনিক, সাগর ও এমএসকে-১ ভাটা মালিকে ৮০ হাজার করে মোট দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং এসএসবি ভাটাকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট তিন লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ জান্য়ুারি বৈধ লাইসেন্স না থাকা, জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো এবং নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ব্যবহার করার অপরাধে ওই চার ভাটা মালিককে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও ড্রাম চিমনি ভেঙে দেন আদালত। ভবিষ্যতে বৈধ কাগজপত্রাদি ছাড়া ভাটা পরিচালনা করবেন না, এই মর্মে মুচলেকা দেওয়ার পরদিন ৯ জান্য়ুারি ফের ভাটা পরাচালনা শুরু করেন মালিকরা।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, মুচলেকা দেওয়ার পরও নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ব্যবহার করার অপরাধে সৈনিক, সাগর ও এমএসকে-১ ভাটা মালিকে ৮০ হাজার করে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং এসএসবি ভাটাকে এক লাখ টাকা ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট তিন লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।