রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অটোরিকশাচালক মো. রনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের ফের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে দুদিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ফেসবুকে উসকানির পৃথক এক মামলায় দুই পুলিশ সদস্যের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত।
শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব পৃথক শুনানি শেষে এসব আদেশ দেন।
এদিন সেলিম আলতাফ জর্জের তিন দিনের রিমান্ড শেষে পুনরায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর আলতাফ হোসেন।
শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলায় আলতাফ জর্জের পক্ষে তার আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহিন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
গত ১৯ জুলাই দুপুর একটার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন নূরজাহান রোডে প্রাইমারি স্কুলের সামনে গুলিবিদ্ধ হয় অটোরিকশাচালক মো. রনি। তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার মা মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
সেলিম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এদিকে ফেসবুকে সহকর্মীদের উসকানি দিয়ে পুলিশ বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশের দুই সদস্যের তৃতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শাহজাহানপুর থানার সাইবার নিরাপত্তা আইনের এ মামলায় একইদিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে ফের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল জোনাল টিমের পরিদর্শক আব্দুল্লাহেল বাকি। একই আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন, যশোর পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান (৩২) ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল সজিব সরকার (২৭)।
এর আগে দুই পুলিশ সদস্যের গত ১৬ সেপ্টেম্বর শাহজাহানপুর থানার মামলায় তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর একই মামলায় তাদের ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আসামিরা গত ৬ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তাদের ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টসহ জনসাধারণের সেবা বাধাগ্রস্ত এবং বিনষ্ট করার জন্য উস্কানিমূলক বার্তা পোস্ট করেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।