কুষ্টিয়ায় র্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার একজন পলাতক আসামী আটক হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় শিক্ষার্থী ও জনতা সহ শহীদ হয় নয়জন। পরে নিহতের পরিবারের সদস্যরা কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার দাখিল করেন। গত ৫আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতারা গাঁঢাকা দেয় এবং এজাহার নামীয় আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সিপিসি-১, কুষ্টিয়া গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (০২সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এর নেতৃত্বে একটি চৌকষ আভিযানিক দল শহরের থানাপাড়ার কুঠিপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করেন।
র্যাব সূত্রে, এ অভিযানে ইউসুফ শেখ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী থানাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান এর পুত্র টুটুল মোল্লা (৩৫)কে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা যায়। উক্ত মামলার ১৭নং আসামী টুটুল মোল্লা।
উল্লেখ, গত ০৫ আগষ্ট কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন থানাপাড়া এলাকায় শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় দুষ্কৃতকারীদের দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চর থানাপাড়ার মৃত এদাত আলী শেখের পুত্র ইউসুফ শেখ(৬৬) নিহত হয়। উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের মেয়ে মোছাঃ সীমা বাদী হয়ে ৭৫ জনের নাম পরিচয় উল্লেখ ও ২০থেকে ৩০জনকে অজ্ঞাত নামা করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৭, তারিখ ১৯/০৮/২০২৪, ধারাঃ ১৪৩/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
এদিকে মামলার প্রধান আসামী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ ও ২য় আসামী তার ছোট ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতা রহমান আতা সহ অন্যান্য আসামীরা এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।