কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি আমগাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওই যুবকের নাম মো. স্বাধীন (২২)। নন্দলালপুর এলাকার ভ্যানচালক আকুল হোসেনের ছেলে। তিনি সোন্দাহ মাধ্যমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা বা কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে ভ্যানে করে স্বাধীনকে বিদ্যালয়ে দিয়ে আসেন তার বাবা আকুল হোসেন। এরপর রোববার সকালে বিদ্যালয়ে একটি আমগাছে রশির সঙ্গে স্বাধীনকে ঝুলতে দেখে পুলিশ ও স্বজনদের খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ আরও জানায়, বিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রাত ১২টা ৭ মিনিট থেকে হাতে একটি রশি নিয়ে বার বার ছোটাছুটি করছে স্বাধীন। তবে ঘটনাস্থলটিতে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তার স্মার্টফোনটি পাওয়া গেছে নিজ বাড়িতে।
এ বিষয়ে স্বাধীনের বাবা আকুল হোসেন বলেন, রাত ১০টার দিকে ভ্যানে করে আমি ছেলেকে স্কুলে দিয়ে এসেছি। আর সকালে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি আমগাছে ঝুলছে মরদেহ। কিন্তু কেন কীভাবে এমন হয়েছে তা জানি না। ওর সঙ্গে বাড়িতে বা বাড়ির বাইরের কারো সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছিল না।
সোন্দাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল ইসলাম ফোনে বলেন, স্বাধীন নিয়মিত দায়িত্ব পালন করত। কারো সঙ্গে ঝামেলা ছিল না। খবর পেয়ে সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে মরদেহ পেয়েছি। তবে কোনো কারণ জানা যায়নি।
সিসিটিভি ফুটেজে রাত ১২টা ৭ মিনিটের দিকে হাতে রশি নিয়ে স্বাধীনকে ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ। তিনি বলেন, খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের একটি আমগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার কোনো কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরে বিস্তারিত জানা যাবে।