খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও লেখক ড. শহিদুল আলম অবশেষে ইসরাইলের আটক থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোরে ফ্রিডম ফ্লোটিলার ‘কনশানস’ জাহাজে থাকা অবস্থায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনী তাঁকে ও আরও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ক্রু সদস্যকে আটক করে। কয়েকদিনের বন্দিদশা শেষে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে তিনি মুক্তি পান। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, “ইসরায়েল থেকে আজ বিকেলে একটি ফ্লাইট ছেড়েছে, যাত্রীর তালিকায় আছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী ড. শহিদুল আলম। তুরস্কের সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইটটি টিকে ৬৯২১ স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ইস্তাম্বুলে অবতরণ করার কথা।” শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।” এর আগে গত বুধবার (৮ অক্টোবর) গাজামুখী ফ্রিডম ফ্লোটিলা নৌবহরে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। জাহাজে থাকা সব সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও নাবিককে তারা আটক করে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যায়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের নেগেভ মরুভূমির কুখ্যাত কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়। দৃক এক বিবৃতিতে জানায়, “ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং আদালাহ—দ্য লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরাইলের মাধ্যমে আমরা জেনেছি, আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর যোগাযোগ স্থাপনের পর মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়।”
পূর্ববর্তী পোস্ট