দামুড়হুদা প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার ইটভাটার পতিত জমিতে এবার আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ৩১টি ইটভাটার প্রায় সব পতিত জমি এখন সবুজ ফসলের দামে ভরে উঠেছে। চলতি আউশ মৌসুমে ৬৬ একর (১৯৮ বিঘা) জমিতে সময়মতো পানি সরবরাহের কারণে ধান চাষ সফল হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোট ৩১টি ইটভাটার পতিত জমিতে ধান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়। এ ধরনের জমিগুলো বছরে ছয় মাস ভাটা বন্ধ থাকার সময়ে মালিকরা লেবাদের কাছে অল্প ভাড়া দিয়ে লিজে দেন।
রাইসা ও নেভি ইটভাটার মালিক এবং সমাজ সেবক আব্দুল মালেক মিয়া জানান, ‘আমরা প্রতি বছর ইটভাটায় কাজ শেষ হওয়ার পর ৬ মাসের জন্য শ্রমিকদের কাছে জমি লিজে দেই। এসময় তারা ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষ করে। আগে এই জমিগুলো প্রায় অচল পড়ে থাকত, এখন ভাটার শ্রমিকদের মাধ্যমে চাষ করানো হয়।’
নেভি ইটভাটার পতিত জমি চাষী আব্দুল আলিম বলেন, ‘এবার আমি দুই বিঘা জমি মালিকের কাছ থেকে অল্প টাকায় লিজ নিয়ে আউশ ধান চাষ করেছি। দুই বিঘায় খরচ হয়েছে ২৪ হাজার টাকা। আশা করছি, এই জমি থেকে ৪০ মন ধান পাওয়া যাবে। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে, তবে ২২–২৪ হাজার টাকার বিচালি বিক্রি করতে পারবো।’
দামুড়হুদা উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অভিজিত কুমার বিশ্বাস জানান, ‘ধান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ভাটা মালিকরা চাষের অনুমোদন দিয়েছেন। ফলে এই মৌসুমে ভাটার চাষকৃত জমিতে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। পতিত জমি চাষের ফলে মালিক ও শ্রমিক উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। আগে যেখানে জমি পড়ে থাকত, এখন সেখানে ধান চাষ হচ্ছে।’
চলতি আউশ মৌসুমে দামুড়হুদার ইটভাটার পতিত জমি কৃষকদের জন্য নতুন স্বপ্নের প্রতীক হিসেবে উদ্ভাবিত হচ্ছে। এ উদ্যোগে শ্রমিকদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পতিত জমি ফলপ্রসূ হচ্ছে।