ইউক্রেনের পক্ষে আট লাখ সদস্যের একটি সেনাবাহিনী দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘কিয়েভ রেজিম ক্রাইম’ বিষয়ক দূত রোদিওন মিরোশনিক এ মন্তব্য করেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল রাশিয়া-১ুএ দেওয়া এক বক্তব্যে মিরোশনিক বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সার্বভৌমত্বের অংশ হিসেবে আট লাখ সদস্যের সেনাবাহিনীর কথা বললেও বাস্তবে ইউক্রেন নিজের সক্ষমতায় এমন বাহিনী পরিচালনা করতে পারবে না। তিনি বলেন, “যদি সার্বভৌমত্ব এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং সেই সার্বভৌমত্বের অংশ হিসেবে আট লাখ সদস্যের সেনাবাহিনী প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে—ইউক্রেন সেই বাহিনী দিয়ে কী করবে? ইউক্রেন নিজেরাই এই সেনাবাহিনীকে খাওয়াতে বা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে না।” মিরোশনিক আরও বলেন, “এমন একটি সেনাবাহিনীকে অন্য দেশগুলোই অর্থায়ন করবে। ফলে ইউক্রেন কার্যত অন্যের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। কেউ এর খরচ বহন করবে, আর কেউ এই বাহিনীকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে।” তিনি দাবি করেন, জেলেনস্কির ঘোষিত পরিকল্পনার প্রথম ধাপে যে ‘সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার’ কথা বলা হচ্ছে, তার প্রকৃত অর্থ এখনও স্পষ্ট নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব বলতে আসলে কী বোঝানো হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে তিনি একটি ২০ দফার শান্তি ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ওই পরিকল্পনায় ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে অনাক্রমণ চুক্তি এবং সংঘর্ষরেখা মেনে চলার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা সর্বোচ্চ আট লাখে সীমিত রাখার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নযোগ্য কিনা—তা নিয়ে রাশিয়া স্পষ্টভাবে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট

