Home » এনসিপি কেন জামায়াতের দিকে ঝুঁকছে?

এনসিপি কেন জামায়াতের দিকে ঝুঁকছে?

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 37 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আসন সমঝোতার আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দলটির ভেতরে এই বিষয়ে ঐকমত্য না থাকলেও কেন এনসিপি জামায়াতের দিকে ঝুঁকছে—এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকেরা। এর মধ্যেই ‘দল ভুল পথে হাঁটছে’ অভিযোগ তুলে এনসিপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা পদত্যাগ করেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গণঅভ্যুত্থানের পর ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ ও সংস্কারভিত্তিক রাজনীতির যে প্রতিশ্রুতি এনসিপি দিয়েছিল, সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা এবং এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস দেখানোর পরও শেষ পর্যন্ত আসন সমঝোতার আলোচনা দলটির অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তবে এনসিপির নেতারা বলছেন, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সদস্য সচিব আখতার হোসেন জানান, বিএনপি, জামায়াতসহ একাধিক দলের সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সংস্কার প্রশ্নে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির অবস্থানগত মিল রয়েছে, যা আলোচনার অন্যতম ভিত্তি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটি অংশ মনে করেন, বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় সুরাহা না হওয়ায় এনসিপি জামায়াতের দিকে ঝুঁকছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ সাহান বলেন, “জামায়াতের সঙ্গে গেলে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি—এই হিসাব থেকেই এনসিপি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।” তার মতে, এতে দলটির স্বতন্ত্র রাজনৈতিক পরিচয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এদিকে এনসিপির ভেতরে এই আলোচনা নিয়ে অসন্তোষ স্পষ্ট হচ্ছে পদত্যাগের মাধ্যমে। যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হকসহ ইতোমধ্যে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা দল ছেড়েছেন। বিশ্লেষকদের ধারণা, জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হলে পদত্যাগের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে ভিন্ন মত পোষণ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ। তার মতে, এনসিপি এখন ক্ষমতার রাজনীতির অংশ হয়ে গেছে। “পাওয়ার পলিটিক্সে জোট ও সমঝোতা অস্বাভাবিক নয়,”—বলেন তিনি। বিশ্লেষকদের সার্বিক মূল্যায়ন অনুযায়ী, সংসদে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এনসিপি জামায়াতের দিকে ঝুঁকছে। তবে এই কৌশল দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা ও জনসমর্থনের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হবে—সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.