Home » যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট আছে, তারাই অন্যদের সেফ এক্সিটের তালিকা করে: আসিফ

যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট আছে, তারাই অন্যদের সেফ এক্সিটের তালিকা করে: আসিফ

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 47 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব নেওয়া, তারাই আবার অন্যদের সেফ এক্সিটের তালিকা করে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।’

বুধবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন। আসিফ বলেন, ‘যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব নেওয়া তারাই আবার অন্যদের সেফ এক্সিটের তালিকা করে।’

আসিফ আরও বলেন, ‘যারা ৫ আগস্ট পালিয়েছিল, তাদের সিমপ্যাথাইজাররা কষ্টে মরে যাচ্ছে। বারবার ফ্যাসিস্টদেরই পালাতে হবে। আমাদের জন্ম এদেশে মৃত্যুও এদেশের মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ। ফ্যাসিস্ট, খুনিদের সাথে লড়তে লড়তে আমার ভাইদের মতো শহীদী মৃত্যুই কামনা করি।’

গত কয়েক দিন ধরে দেশের রাজনীতিতে ‘সেফ এক্সিট’ কথাটি ঘুরপাক খাচ্ছে। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) কথা ভাবতেছে।’

বুধবার ওই বক্তব্যের বিষয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘তার (নাহিদ ইসলাম) বক্তব্য তাকেই সাবস্ট্যান্টসিয়েট (সত্যতা প্রমাণ) করতে হবে। তার বক্তব্যকে আমার সাবস্ট্যান্টসিয়েট করার বিষয় না, আমার খণ্ডানোরও বিষয় না।’

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘কিছু উপদেষ্টার মধ্যে আমরা এই আচরণ দেখতে পাচ্ছি যে তারা এখন কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্বটা পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো।’

সারজিস আলম বলেন, ‘এই দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থান–পরবর্তী একটা সরকার কাজ করতে পারে না। তারা এত শহীদের ওপর, এত রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ওইখানে আছেন। তারা যদি এখন জীবনের একটু থ্রেটের ভয় করেন, তাহলে তো ওই দায়িত্ব তাদের নেওয়া উচিত ছিল না।’

এরপরই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ। একাধিক দেশের পাসপোর্টধারী ও নাগরিক বলে কাকে ইঙ্গিত করলেন তিনি?

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.