মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক মহাসড়ক ও সড়ক ডিভাইডারে চলছে পাট শুকানোর মহোৎসব। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। চাকা ও হ্যান্ডেলে পাটের আঁশ পেঁচিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। তবুও থামছে না এ বিপজ্জনক কার্যক্রম।
চলছে পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর মৌসুম। চাষিরা পর্যাপ্ত শুকানোর জায়গার অভাবে মহাসড়ক, গ্রামীণ সড়ক এমনকি সড়ক ডিভাইডারও ব্যবহার করছেন। শুকানোর জন্য পাকা রাস্তাই তাদের কাছে সহজ সমাধান। কিন্তু এর কারণে তৈরি হচ্ছে মারাত্মক ঝুঁকি।
মেহেরপুর–কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী শহরের কাথুলি মোড়, চোখতোলা, তেরাইল বামন্দী মোড় ও ছাতিয়ান বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার উপর ও ডিভাইডারে পাট শুকানো হচ্ছে। এছাড়া কাজিপুর–হাটবোয়ালিয়া, গাংনী হাটবোয়ালিয়া ও গাংনী কাথুলি সড়কেও একই চিত্র।
স্থানীয়রা জানান, প্রায়ই এসব রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে। মালসাদহ গ্রামের ভ্যানচালক ওয়াসিম বলেন, “পাটের আঁশে ভ্যানের চাকা পেঁচিয়ে জ্যাম হয়ে যায়। একাধিকবার ভ্যান উল্টে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি।” জোড়পুকুরিয়া বাজারের ভ্যানচালক রশিদ বলেন, “গত শনিবার সকালে কাথুলি মোড়ে শুকানো পাটের আঁশ জড়িয়ে ভ্যান উল্টে গিয়ে পাঁচজন আহত হয়।” পাটচাষিদের দাবি, শুকানোর পর্যাপ্ত মাঠ না থাকায় তারা রাস্তা ব্যবহার করছেন। তবে দুর্ঘটনা ঘটায় অনেকে অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন। কয়েকজন চাষি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভবিষ্যতে আর রাস্তায় পাট শুকাবেন না।
রাইপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সারগীদ বলেন, “পাটচাষিরা রাস্তার পাশে পুকুর বা ডোবায় আঁশ ছড়িয়ে রাস্তার উপরেই শুকাচ্ছেন। অনেককে নিষেধ করলেও শোনেন না। উল্টো রাগারাগি করেন।” একই কথা জানিয়েছেন ষোলটাকা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান সুজাউদ্দীন।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পূর্ববর্তী পোস্ট