সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এবং তার ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলকে তিনদিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া সাবেক মন্ত্রীর ভগ্নীপতি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শারমিন নাহার এ আদেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় তাদের এই রিমান্ড দেওয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
এদিকে আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় উৎসুক জনতা ফরহাদ হোসেন ও অন্যান্য আসামিদের লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে আসামিদের আদালতে নেওয়া হয়। তখন থেকেই আদালত চত্বরে শুরু হয় উত্তেজনা। বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। রিমান্ড আবেদনের শুনানি দুপুর ১২টায় শেষ হলেও কারাগারে নেওয়া হয় দুপুর ২টার দিকে। কারণ এসময় শিক্ষার্থী, বিএনপি নেতাকর্মী ও উৎসুক জনতা প্রিজন ভ্যান ঘিরে রাখে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের চেষ্টায় কারাগারের পথে রওনা দেয় প্রিজন ভ্যান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় রাশেদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মামলায় বৃহস্পতিবার সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে দুদিনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়ায় ওই মামলায় আবারও আসামিদের পাঁচদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ফরহাদ হোসেন ও তার ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলকে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী হাসনাত জামানের করা আরেকটি মামলার সাবেক মন্ত্রীর ভগ্নীপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে দুদিনের রিমান্ড দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম জানান, আদালতে দুটি মামলার শুনানি হয়। আমরা রিমান্ডের পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরি।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহীন জানান, তদন্ত কর্মকর্তা মামলার বিষয়টি পুরো না বুঝেই রিমান্ড আবেদন করেছেন।