Home » মেহেরপুরের চাঁদবিলে কচুরিপানার নিচে মিল্ল নারীর মরদেহ

মেহেরপুরের চাঁদবিলে কচুরিপানার নিচে মিল্ল নারীর মরদেহ

কর্তৃক Shariar Imran Mati
মোঃ কামাল হোসেন খাঁন 18 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের চাঁদবিল থেকে তাসলিমা খাতুন (৫২)নামের এক মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে চাঁদবিলে কচুরিপানার নিচ থেকে তাসলিমার লাশ উদ্ধার করা হয়।

তাসলিমা চুয়াডাঙ্গার আব্দুল হান্নানের স্ত্রী এবং চাঁদবিল গ্রামের বরকত আলীর মেয়ে,ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ বিলের পূর্ব পাড়ে কচুরিপানা নিচে লুকিয়ে রাখা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে,তাসলিমার পিতার বাড়ি চাঁদবিল গ্রামে,তার ভাইদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, তাসলিমা তার ভাইদের কাছ থেকে জমির ভাগ নেয়ার জন্য প্রায় তিন বছর পূর্বে তার পিতার বাড়ি চাঁদবিলে এসে সেখানে একটি ঘর করে বসবাস করছিল,প্রতি সপ্তাহে তার স্বামী আব্দুল হান্নান এবং তার ছেলেমেয়েরা তার সাথে দেখা করতে আসতো। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে তাসলিমাকে খুঁজে না পেয়ে সকালে তার স্বামী এবং সন্তানদের ফোন দেওয়া হয়। সকালে দিকে বিলের পাড়ে তাসলিমার ব্যবহারিত কাপড় এবং মাথার কাটা চুল পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়,পরে পানিতে নেমে তাকে খুঁজতে গিয়ে কচুরিপানার নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

মাথায় এবং গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়,নিহত তাসলিমার স্বামী আব্দুল হান্নান বলেন, আমার ভায়রাভাই শরিফ উদ্দিনের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের ধরে শরিফুল ও তার ছেলে সবুজ ও শাহাবুদ্দিন মিলে আমার স্ত্রীকে খুন করেছে।

নিহতের ছেলে জানান, আমার মা জমির ভাগ নেয়ার জন্য এখানে এসেছিল,আমার খালাতো ভাই সবুজ, শাহাবুদ্দিন এবং তার পিতা শরিফ উদ্দিন মিলে আমার মাকে হত্যা করেছে,আমরা এ হত্যার বিচার চাই।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমানুল্লাহ আল বারী জানান, তাসলিমা নামের এক মহিলার মরদেহ উদ্ধার করেছে করা হয়েছে,সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে,তদন্ত কাজ শুরু করেছি,অচিরেয় এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারব।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.