Home » কুষ্টিয়ায় বিদ্যুতের খুঁটি স্পর্শে নারীর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুতের খুঁটি স্পর্শে নারীর মৃত্যু

কর্তৃক Shariar Imran Mati
নিজস্ব প্রতিবেদক 131 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

কুষ্টিয়া শহরে ওজোপাডিকো’র অবহেলা ও খামখেয়ালীপনায় বিদ্যুতের খুঁটি স্পর্শের সাথে সাথেই এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে শহরের মাহাতাব উদ্দিন রোড সংলগ্ন রাজু’র কবরের দক্ষিণ পাশের গলিতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম শিরিনা খাতুন (৩০)। তিনি কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাশিমপুর গ্রামের নির্মান শ্রমিক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
নিহত শিরিনা খাতুন কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পিছনে মজিরনের বাড়িতে স্বামী ও ৩ সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তার ছোট সন্তানের বয়স ৩ বছর।

নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলাম জানান, রবিবার ভোর ৬টার দিকে আমার স্ত্রী বাসা থেকে মেসে রান্নার উদ্দেশ্যে বের হয়। মেসের রান্না শেষে সাড়ে ৭টার সময় একজন মহিলা বাসায় দৌড়ে এসে বিদ্যুতে শক খাওয়ার সংবাদ জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী বিদ্যুতের খুঁটির পাশে উল্টে পড়ে আছে। আমার ছোট সন্তানের বয়স ৩ বছর। ঘুম থেকে উঠে তার মায়ের সাথে আর দেখা হয়নি। আমি কার কাছে বিচার চাব?”

প্রত্যক্ষদর্শী রিনা খাতুন জানান, রাতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় সেসময় রাজুর কবরের গলির মধ্যে পানি জমে ছিল। ঘটনার সময় শিরিনা খাতুন বিদ্যুতের খুঁটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটু ছোঁয়া লেগে ছটফট করে রাস্তায় পড়ে যায়। উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের বিষয়টি টের পেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগে খবর দেয়া হয়। আধা ঘন্টা পর বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঘটনা স্হলে এলে লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে ওজোপাডিকো লি: কুষ্টিয়ার বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরাও প্রথমে শুনেছি, বিদ্যুতের খুটির সাথে স্পর্শ হয়ে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে প্রচুর বৃষ্টি হয়ে সেখানে পানি জমে ছিলো, প্রাথমিক ধারণা করেছিলাম যে ওই খুটির লেগে থাকা সার্ভিস তারে কোথাও লিক হয়ে পানি সংযোগে সিমেন্টের ওই পিসি পোলে বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা তাৎক্ষনিক পরিক্ষা করে বিদ্যুতায়নের প্রমান পায়নি। কিন্তু স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি যে ওই খুটির সাথে স্পর্শ করে বিদ্যুৎ সক খেয়ে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তবে যেটাই ঘটুক পরিবারটি খুবই গরীব অভাবী, ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য কিছু আর্থিক সাহায্যের জন্য আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশা করি ওই পরিবারকে আমরা কিছু আর্থিক সাহায্য দিতে পারবো।

দূর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উদ্ধার করতে যাওয়া সুজন বলেন, “শক মারার কারণে আমরা নিহতের কাছেই যেতে পারিনি। ওখানে তখন অনেক লোক ছিলাম।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.