অপহরণের মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আরিফুল, শাহাবুদ্দিন, চাঁদ আলী, জগত আলী এবং নুরুল মন্ডল নামের ৫ জনকে প্রত্যেকের ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মোহাঃ শাহিনুর রহমান এই আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আরিফুল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চক কল্যানপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে, শাহাবুদ্দিন একই গ্রামের আজিম উদ্দিন এর ছেলে, চাঁদ আলী আজাহার আলীর ছেলে। জগত আলী চাঁদ আলীর ছেলে এবং নুরুল মন্ডল সুরমানের ছেলে।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ চককল্যানপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি রাতে স্যালো মেশিনের সাহায্যের জমিতে পানি দেয়ার সময় ৭-৮ জনের একদল লোক মোশারফ হোসেন এবং জমির মালিক আলফাজকে আটক করে হাত মুখ বেঁধে মারপিট শুরু করে। এ সময় আলফাজ কৌশলে পালিয়ে এসে গ্রামের লোকজনকে বিষয়টি জানানোর পর স্থানীয় লোকজন মাঠে গিয়ে খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে না পাওয়াই পরদিন মোশারফ হোসেনের স্ত্রী হাজেরা বেগম বাদী হয়ে ১৬ মার্চ গাংনী থানায় ৩৬৪/৩৪ পেনাল কোড- একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আরিফুল, শাহাবুদ্দিন, চাঁদ আলী, জগত আলী, নুরুল মন্ডল,জেনারুল ইসলাম, ওমেদ আলী,জান মোহাম্মদ এর নামে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ প্রদান করেন। এতে আসামি আরিফুল, শাহাবুদ্দিন, চাঁদ আলী, জগত আলী এবং নুরুল মন্ডল দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড। ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডেশ দেন।
মামলার অপর আসামি জেনারুল ইসলাম, ওমেদ আলী,জান মোহাম্মদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন। সাজাপ্রাপ্ত নুরুল মন্ডল পলাতক রয়েছেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষে এ পিপি ফিরোজুল হক এবং আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান আলম, শফিকুল আলম, রূপসভা মণ্ডল এবং আলম কৌশলী ছিলেন।