মেহেরপুর মহিলা কলেজ মোড়ে বাদল- ফেন্সি মার্কেটের এস আর টেলিকমে দুঃসাহসিক চুরির ৭ দিনের মাথায় চুরির সাথে জড়িত আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সাকিব হাসান মুরাদ ও লিটন চক্তবর্তী নামের তিন জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চুরি যাওয়া ৫৭ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার বিকালের দিকে মেহেরপুর ডিবি পুলিশের দল আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সাকিব হাসান মুরাদ ও লিটন চক্তবর্তীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আটক আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও সাকিব হাসান মুরাদ চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার উকিলপাড়ার সোলায়মানের ছেলে এবং লিটন চক্তবর্তী একই জেলার চন্দনাইশ উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়ার অজিত চক্রবর্তীর ছেলে। গত ৭ জুলাই মেহেরপুর শহরের মহিলা কলেজ সড়কের এস আর টেলিকমের শাটারে লাগানো তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দুই শতাধিক মোবাইল চুরি করে নিয়ে চলে যাই। ওই ঘটনায় এস আর টেলিকমের ব্যবস্থাপক আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা এবং ২৭।
এদিকে মেহেরপুর শহরে মহিলা কলেজ সড়কের এস আর টেলিকমের দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের পর থেকে মেহেরপুর ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর সাইফুল আলমের নেতৃত্বে এসআই অরুণ কুমার দাস, মনিরুজ্জামান মিলন, আশরাফুল আলমসহ ডিবি পুলিশের চৌকস সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও চোরদের ছবি সংগ্রহের মাধ্যমে সনাক্ত করে এবং নাম ঠিকানা জানতে সমর্থন হয়। পরে প্রায় ৬ দিন যাবত কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় অভিযানিক দলের সদস্যরা নিশ্চিত হন চোরাই মোবাইলগুলো চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ আল আমিন শপিং কমপ্লেক্সে খাজা ডিসপ্লে গ্যালারি নামক দোকান মালিকের হেফাজতে আছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানির দল আব্দুল্লাহ আল মারুফ এবং তার ভাই সাকিব হাসান মুরাদকে আল আমিন শপিং কমপ্লেক্সে থেকে আটক করেন। এবং সেখান থেকে ৫৭ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করেন। পরে আটক দুই ব্যক্তির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৫ জুলাই লিটন চক্রবর্তীকে আটক করে মেহেরপুর নিয়ে আসেন।
বুধবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৭ জুলাই সকাল ৭-৫৫ মিনিটের সময় মেহেরপুর শহরের মহিলা কলেজ মোড়ে সঙ্গবদ্ধ একটি চোরের দল এস আর টেলিকমের শাটারে লাগানো তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দুই শতাধিক মোবাইল নিয়ে চলে যাই। চোরের দল যাওয়ার সময় অন্য একটি তালা লাগিয়ে দিয়ে যাই।