পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়মে মরতে বসেছে ছেউটিয়া নদী । ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে করা হয়েছে নদী খনন। যার ফলে সিডিউল মোতাবেক খনন না করায় মরতে বসেছে মেহেরপুরের ছেউটিয়া নদী, এলাকাবাসীর অভিযোগ ১৩ থেকে ১৪ ফিট গভীর করার কথা থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতায় খনন করা হয় মাত্র ৩-৪ ফিট নদী, নদী খাননে গাফেলতি স্বীকার করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
মেহেরপুরের ছেউটিয়া নদীর পূর্ণরূপ ফিরিয়ে দিতে ২০১৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার নদী খনন শুরু করে এস.আর.এস.ই (জেভি) নামের কুষ্টিয়ার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, নদীর খননে সিডিউলে ১৩ থেকে ১৪ ফিট গভীর করার কথা থাকলেও মাত্র ৩ থেকে ৪ ফিট খনন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, কয়েক বছরের ব্যবধানে নদী তার যৌবন ফিরে পায়নি, তাই আবারো মরতে বসেছে ছেউটিয়া নদী, এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরা। নদীটি ৬০-৭০ মিটার চওড়া থাকলেও বর্তমানে নদীতে ২০-২৫মিটার দৈর্ঘ্য রয়েছে। এই নদীতে এক সময় অনেকেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো, নদী থেকে পানি উত্তোলন করে কৃষি কাজে ব্যবহার করতো বলেও জানান এলাকাবাসীরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ নদী খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের একাধিকবার মৌখিক ভাবে বলার পরেও তারা কোন কর্ণপাত করেননি, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দিয়ে দেওয়া হয় হুমকি, নদীটি সঠিক ভাবে খনন না করাই সরকারের কোটি টাকার প্রকল্প কোন কাজেই আসেনি, ডিজাইন মাফিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন মাটি খনন করতে পারেনি এটি জানতে পেরেছিলাম, যতটুকু মাটি খনন করা হয়েছে ততোটুকের বিল প্রদান করা হয়েছে বলে জানান আব্দুল হান্নান, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, মেহেরপুর।