Home » হাতে লিখে পাস করানোর যুগ শেষ, শিক্ষার মান বৃদ্ধি প্রয়োজন — আমজাদ হোসেন

হাতে লিখে পাস করানোর যুগ শেষ, শিক্ষার মান বৃদ্ধি প্রয়োজন — আমজাদ হোসেন

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 24 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

 

একসময় শিক্ষার্থীদের নকলের মাধ্যমে হাতে লিখে পাস করানোর প্রথা ছিল, যা শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়নি এবং জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেনি—মন্তব্য করেছেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুরের গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “শিক্ষার ভিত্তি দুর্বল থাকলে কোনো জাতিই এগোতে পারে না। শিক্ষার্থীরা আজ নিজের নামের ইংরেজি বানানও ঠিকভাবে লিখতে পারছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করা উচিত।”

আমজাদ হোসেন আরও বলেন, “ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে যদি আমি এমপি নির্বাচিত হই, তবে কলেজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছে শিক্ষার্থীদের অধিকার তুলে ধরবো। শিক্ষাখাতের অসংগতি ও দুর্বলতা দূর করে আধুনিক ও উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করবো।”

তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য যুগোপযোগী কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, “শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষক সংকট নিরসন, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ও প্রযুক্তিগত ঘাটতি দূর করা আমাদের মূল লক্ষ্য। নকলের সংস্কৃতি চিরতরে বন্ধ করে যোগ্যতা ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করা হবে।”

আমজাদ হোসেন শিক্ষার্থীদের হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা উন্নয়ন কর্মসূচি লিফলেট আকারে বিতরণ করেন। এই ৩১ দফায় শিক্ষাখাতের আধুনিকায়ন, সুশাসন, দক্ষ মানবসম্পদ ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার নানা পরিকল্পনা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা দেশের ভবিষ্যৎ। শিক্ষা ভালো না হলে দেশ এগোবে না।”

পরিদর্শনকালে তিনি কলেজের শ্রেণিকক্ষ, প্রশাসনিক ভবন ও পরীক্ষার হল ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, কলেজ অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসাইন, সহ-সভাপতি রেজানুল হক ইমন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জুনায়েদ আহমেদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে লিফলেট বিতরণ করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.