Home » সব আছে, কিন্তু নেই ।। মটমুড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

সব আছে, কিন্তু নেই ।। মটমুড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 55 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় ধুঁকছে গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। ইচ্ছামতো অফিসে আসা-যাওয়া করেন দ্বায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ ইউনিয়নের সাধারণ রোগীরা।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগী ও তাদের স্বজনদের অপেক্ষা করতে হয় চিকিৎসকদের জন্য। মেডিকেল অফিসার না থাকায় সামান্য ঠান্ডা-কাশির মতো সমস্যাতেও অধিকাংশ রোগীকে যেতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সোমবার বেলা ১ টার সময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রবেশ পথেই হাসপাতাল চত্বরে চপ-সিঙ্গাড়ার ও পিয়াজুর দোকান। আশেপাশের জায়গা গুলোতে ময়লা ও ঝোপঝাড়ে ভরপুর। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (এসএসিএমও) কামরুন্নাহার শনি, রবি ও সোমবার সেখানে যাননি। তিনি দ্বায়িত্ব পালন করছেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ফার্মাসিস্ট সেকেন্দার আলী অফিসের নির্ধারিত সময়ের আগেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র তালাবদ্ধ করে চলে গেছেন। এলাকার মানুষ বলছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবা ‘‘কাজীর গরু কেতাবে আছে; গোয়াল ফাঁকা।”

অভিযোগে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহে এসএসিএমও কামরুন্নাহার দুই সপ্তাহ ধরে একটানা সাব সেন্টারে যাননি। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোস্টার অনুযায়ী তিনি সপ্তাহে দুই দিন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি করছেন। দুই দিন যদি হাসপাতালে ডিউটি করে থাকেন তাহলে বাকি ৪ ‍দিন তিনি কোথায় দায়িত্ব পালন করেছেন ? হাসপাতালে ডিউটির অজুহাত দিয়ে তিনি সাব সেন্টারে অনুপস্থিত থাকছেন ? বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে তিনি সাব সেন্টার বাদ দিয়ে হাসপাতালে ডিউটি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী বরেন, আমাদের ইউনিয়নের এটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র না ব্যবসা কেন্দ্র বাইরে থেকে কিছু বোঝার উপায় নেই। এলাকার অনেক মানুষ এখানে আসে স্বাস্থ্য সেবা নিতে কিন্তু মেডিকেল অফিসারতো দুরের কথা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারও নিয়মিত আসেনা। ছোটখাটো যে সমস্যায় হোক ১৬ কিলোমিটার দুরের হাসপাতালে যেতে হয়। মাঝে মাঝে অফিসে আসে ১০ টায় আবার ১ টায় চলে যায়‌। আবার কখনো তাকে অফিসে দেখা যায় না। ফার্মাসিস্ট সেকেন্দারতো চিকিৎসা দিতে পারে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ- আল- আজিজ বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পরেই ফর্মাসিস্টকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কামরুন্নাহার ঐদিন হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলো। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকট থাকায় সাব-সেন্টার থেকেও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে আমি কয়েকদিনের মধ্যে অফিস স্টাফদের নিয়ে বসে এ বিষয়ে সমাধান করবো।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.