Home » শাপলা ফ্যাশনের দুর্ধর্ষচুরির অভিযোগ, অবশেষে চুরি মাল পাওয়া গেল মালিক ফিরোজের বাড়ি

শাপলা ফ্যাশনের দুর্ধর্ষচুরির অভিযোগ, অবশেষে চুরি মাল পাওয়া গেল মালিক ফিরোজের বাড়ি

কর্তৃক আবুল কাসেম অনুরাগী
সূর্যোদয় প্রতিবেদক 84 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

 

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী বাজারে শাপলা ফ্যাশনে চুরির অভিযোগ তোলেন দোকান মালিক ফিরোজ আলী। গত শনিবার সকালে দোকানে এসে তিনি তার দোকানের মালামাল চুরির অভিযোগ তোলেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল বেলায় দোকান মালিক ফিরোজ আলী দোকানে এসে দোকানে শাটারের তালা বিহীন অবস্থায় দেখতে পান। পরে দোকানের শাটার তুলে তিনি দেখেন দোকানের শোকেসের গ্যালারির সমস্থ মালামাল লোপাট হয়ে গেছে। দোকান মালিক ফিরোজ আলী তার দোকানে চুরির অভিযোগ তুললে আশেপাশের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের ভিড় জমতে শুরু হয় দোকানের সামনে। শাপলা ফ্যাশানে চুরির ঘটনায় হৈচৈ পড়ে যায় চারিদিকে। শাপলা ফ্যাশানের এমন দুর্র্ধষ চুরির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন আশেপাশের ব্যবসায়ীরা। চুরির ঘটনার খবর পেয়ে বারাদী বাজারের নবনির্বাচিত আহবায়ক কমিটির সদস্যরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। শুরু করেন তদন্ত ডাকা হয় বাজার পাহারার দায়িত্বে থাকা নৈশ প্রহরীদের।

বাজারের নৈশ প্রহরী কিসমত আলী বলেন, সারারাত বাজার পাহারা শেষে আমি বাড়ি যাওয়ার সময় সকল দোকানের তালা চেক করে যায়। তখনো শাপলা ফ্যাশানের দোকানে তালাবদ্ধ ছিল। তাছাড়া দোকান মালিক কর্তৃক দোকানে চুরির অভিযোগ তুললেও দোকানের তালা বা শাটার ভাঙ্গা এবং দোকানের ভিতরের সিসি ক্যামেরা বা ক্যাশবাক্স ভাঙার কোন আলামত পাওয়া যায় না এবং দোকানের সিসি ক্যামেরার ডিভাইস দেখতে না পাওয়ায় জনমনে সৃষ্ট হয় সন্দেহ।

ইতিমধ্যে রাসেল নামের এক ইজিবাইক চালক জানায় তিনদিন আগে তিনি শাপলা ফ্যাশান থেকে মালামাল নিয়ে দোকান মালিক ফিরোজ আলীর পৈতৃক বাড়ী হিজুলী গ্রামে রেখে আসেন। তখন বাজারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে তার বাবার বাড়ীতে দুই বস্তা ও তার পাশ্ববর্তী চাচার বাড়ীতে গিয়ে চার বস্তা চুরি যাওয়া মালামালের দেখা পায়। এ সময় বস্তার মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সময় দোকানের কর্মচারী সুলতান আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সুলতান আহমদ দোকানের মালামাল সরানো ও চুরির ঘটনা স্বীকার করে। সুলতান বলেন দোকান মালিক ফিরোজ আলীর নির্দেশে কয়েক দিন আগেই দোকানের মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়, তাছাড়া শুক্রবার দিনগত রাতে দোকান বন্ধ করে যাওয়ার আগে আমরা গ্যালারীর মালামাল সরিয়ে দোকানের প্লাস্টিকের বক্সে ভরে রাখি এবং সিসি ক্যামেরার ডিভাইস খুলে নিয়ে যায়। পরে ভোরের দিকে এসে আমি দোকানের তালা খুলে নিয়ে যায়। কি উদ্দেশ্যে বা কেন তারা এই চুরির নাটক সাজিয়েছে এমন প্রশ্নের সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কমিটির সদস্যরা বলেন, বাজারের নতুন কমিটিকে ফাঁসাতে এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল ও রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্যই দোকান মালিক এই নাটক সাজিয়েছে।

এবিষয়ে সাধারণ মানুষেরা বলেন, কারো কুবুদ্ধিতে বা ইন্ধনে দোকান মালিক এমন টা করতে পারে। তবে দুপুরের পর থেকে দোকান মালিক ফিরোজ আলী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

বারাদী বাজারের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মুকুল (মেম্বার) বলেন, এটি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে দোকান মালিক এই চুরির নাটক সাজিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে বাজার কমিটির সদস্যদের নিয়ে এই সাজানো নাটকের বিচার করা হবে।

 

 

 

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.