মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের মাঠে আলমগীর হোসেন (৩৮) নামের এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত আলমগীর হোসেন গাংনী পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ও বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের মঈনউদ্দীনের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) সকাল ৯ টার দিকে সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের ইচিখালীর মাঠ থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশের একটিদল।
স্থানীয়রা জানান, সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের ইচিখালীর মাঠের জনৈক কামরুজ্জামানের তামাক ক্ষেতের পাশে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে কৃষকরা। পরে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ সনাক্ত করে।
গাংনী পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এনামুল হক জানান, আলমগীরকে বুধবার সন্ধ্যায় অনেকেই গাংনী শহরে ঘোরাফেরা করতে দেখেছে। রাত ১ টার দিকে তার পরিবারের লোকজন জানায় আলমগীরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। সকালে শুনা যায় তার রক্তাক্ত লাশ সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের মাঠে পড়ে আছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।
গাংনী পৌর যুবদলের আহবায়ক সাহিদুল ইসলাম বলেন, আলমগীর হোসেন গভীর রাত হলেও সে বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার যুবদল নেতৃবৃন্দ সহ আত্মীয স্বজন বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজ করেও পাইনি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলমগীর হোসেনের স্বজনরা জানিয়েছেন, আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন দুবাই ছিলেন তিনমাস পূর্বে সে বাড়িতে এসেছে। ইতোপূর্বে ঢাকায় থাকাকালে বগুড়া জেলায় প্রথম ও সাহারবাটিতে ২য় বিয়ে করে। তার দুইটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই আল আমিন জানিয়েছেন, আলমগীর হোসেন রাত থেকে নিখোঁজ হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে তাকে অপহরন করার পর হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে যুবদল নেতার মরদেহ পড়ে থাকা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন, ষোলটাকা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি-সহ বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি বানী ইসরাইল জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। সেই সাথে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।