মেহেরপুরে কাজে ফিরেছেন জেলায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ কাজে ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারন মানুষের মাঝে।
সকাল থেকে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হকের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের সকল থানা ও ক্যাম্পের সদস্যরা এক যোগে আইনঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে মাঠে কাজ শুরু করেছেন। পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগদান করায় পুলিশ সুপার শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন মোড়সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে আইনঙ্খলা রোধে মতবিনিময় করেন।
পরে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট নিয়ে শহর জুড়ে মহড়া দেন। শহরের যানজট নিরসনে কয়েক দিন ধরে আনসার সদস্য, বিএনসিসি স্কাউট সহ শিক্ষার্থীরা যানজট নিরশনে কাজ করছিলেন। আজকেও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সাথে যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা যায় তাদের।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া জানান, সকাল থেকে মেহেরপুর সদর থানার সকল কার্ষক্রম শুরু হয়েছে। এখন থেকে সেবা প্রার্থীরা থানায় এসে সব ধরনের আইনগত সেবা পাবেন। এছাড়া পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, বেশ কয়েকদিন পর পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশের সকল সদস্য কাজে মনোযোগ দিয়েছেন।
মেহেরপুর ট্রাফিক বিভাগের অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন জানান, সকাল থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ন মোড়ে জেলা ট্রাফিকের সদস্য যানজট নিরসনে কাজ শুরু করেছে। ট্রাফিকের পাশাপাশি আনসার সদস্য,বিএনসিসি ও শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক জানান, সকাল থেকে মেহেরপর জেলার সকল থানা, ক্যাম্প, ফাঁড়ি ও ট্রাফিক বিভাগ তাদের স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা নিয়নন্ত্রন সহ আইনগত সেবা দেওয়া শুরু করেছে। পুলিশের ১১ দফা দাবী প্রত্যাহার হওয়ার পর থেকে তারা কাজে ফিরেছেন।
এদিকে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহলও জোরদার করা হয়েছে। সাধারন মানুষকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশকে সহযোগীতা করার আহবান জানান তিনি।
সদর থানায় সরজমিনে গিয়ে সেবা নিতে আসা সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের বাইজিদ হোসেনের সাথে কথা হয়। এসময় তিনি জানান, গত ৬ আগষ্ট রাতে তার বাড়ি থেকে চোরের দল একটি আলগামন চুরি করে নিয়ে গেছে। প্রতিদিন থানায় অভিযোগ লেখাতে এসে ফিরে যেতে হয়। পুলিশ তাদের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখায় এখন পর্যন্ত আলগামন উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তিনি আজ সকালে জানতে পারেন পুলিশ আবারো কাজে ফিরেছেন তাই আলগামন হারানোর অভিযোগ দিতে এসেছেন।