Home » মেহেরপুরে শতাধিক গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

মেহেরপুরে শতাধিক গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

কর্তৃক আবুল কাসেম অনুরাগী
সূর্যোদয় প্রতিবেদক 51 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

মেহেরপুরে ‘সিডার’ নামে এনজিওর প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন শতাধিক হতদরিদ্র ব্যক্তি। সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার নামে তাদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে এনজিওটি লাপাত্তা হয়েছে। রবিবার ৬ অক্টোবর ঋণ প্রদানের তারিখে ভুক্তভোগীরা এসে এনজিও অফিস (ভাড়া করা বাড়ি) তালাবদ্ধ দেখতে পান।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এনজিওতে বিনিয়োগের জন্য অনেকেই বাড়ির মালিক আব্দুল মতিন তাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। ভুক্তভোগী লালন হোসেন, তরিকুল ইসলাম, আসমা, খুশি খাতুনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, পৌরসভার দিঘিরপাড়া এলাকায় আব্দুল মতিনের বাড়িতে ‘সিডার’ নামে এনজিও কার্যক্রম শুরু করে ।

সদর উপজেলার শ্যামপুর, শিশিরপাড়া, আলমপুর, মদনাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এনজিওর লোক সহজ  শর্তে ঋণ প্রদানের আশ্বাস দিয়ে তাদের অফিসে আসতে বলেন। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে জামানত হিসেবে সাড়ে ৯ হাজার টাকায় দেড় লক্ষ, ১২ হাজার টাকায় দুই লক্ষ, ১৮ হাজার টাকায় ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার আশায় তারা এই এনজিওতে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা জমা করেন।

গত শনিবার আরও মানুষের টাকা জমা দেওয়ার জন্য তাদের কাছে ফোন করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফোন বন্ধের কারণে অনেকের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই ভুক্তভোগীরা এসে এনজিওর ভাড়া নেওয়া দুটি রুম তালাবদ্ধ দেখতে পান। রবিবার সকালে লোকজন ওই বাড়ির সামনে জড়ো হতে শুরু করলে বাড়ির মালিক আব্দুল মতিন কৌশলে এনজিওর সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলেন। বাড়ির মালিক এনজিওর ব্যক্তিদের সাথে জড়িত আছেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

বিষয়টি জানতে বাড়ির মালিক আব্দুল মতিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমার ভাই আজমাইনের মাধ্যমে তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করে। দুটি রুম দশ হাজার টাকা ভাড়ার কথা হয়। আগামী ১০ তারিখে চুক্তি হওয়ার কথা। শনিবার বাড়িতে এসে দেখি তালাবদ্ধ ঘর। পরে তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সব ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

টাকা ফেরত পেতে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

 

 

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.