সরকারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া বিলের মাছ চুরির মামলায় জাদুখালী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাঈদ আরেফিন রিপলুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক তাকে কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। সাঈদ আরিফিন রিপলু মেহেরপুর সদর উপজেলার কাঁঠালপোতা গ্রামের আসাদ বাঙালির ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর মাঝপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অনুকূলে ২০২০ সালের ৩১ মে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ১০৯.৩৮ জমির উপর অবস্থিত দাদপুর জলমহল লিজ গ্রহণের পর সেখানে মাছ চাষ করে আসছিল।
এদিকে গত ৩১ মে ভোরের দিকে জাদুখালী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাঈদ আরেফিন রিপলুর নেতৃত্বে ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের মাছ চুরি করে নিয়ে যাই। ওই ঘটনায় গোপালপুর গ্রামের ওয়াজ আলীর ছেলে সাহেব আলী বাদী হয়ে জাদুখালী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাঈদ আরেফিন রিপলুকে প্রধান আসামি করে ৪৩৭/৩৭৯/৫০৬ ধারায় মোট ১৩ জনের নামে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হল একই গ্রামের আসাদুল হকের ছেলে নাজমুল সাকিব শুভ, ফকির মন্ডলের ছেলে আশাদুল হক, আলিম বিশ্বাসের সাথে আরিফুল, আদম আলীর ছেলে আবু তালেব, আইসুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আলী হিম বিশ্বাস, আসাদ বাঙালির ছেলে সাইফুল, আমিন খোড়ার ছেলে শিরাকুল, শাহাদতের ছেলে হাসিরুল, আফসারের ছেলে লাচু,তাহের বিশ্বাসের ছেলে খায়রুল,জঙ্গলের ছেলে টাঙ্গি, পচার ছেলে এনামুল হক উজ্জ্বল ।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জাদুখালী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাঈদ আরেফিন রিপলু মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন।