মেহেরপুরে প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে তিন যুবকের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কলেজছাত্রী। বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজাপুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার মেরহরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার আরেক আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—রাজাপুর গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম এবং জুমাত আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম। পলাতক রয়েছে নজরুল ইসলামের ছেলে মিনারুল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের শুক্রুবার জেল হাজতে প্রেরন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ওই ছাত্রী বুধবার বিকেলে প্রেমিকের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন। সন্ধ্যার দিকে রাজাপুর মাঠের রাস্তা দিয়ে ফেরার সময় তিন যুবক তাদের পথরোধ করে নানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা প্রেমিকের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁদের ইউপি সদস্য চঞ্চলের ভাটার পেছনের আমবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিকের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দিলে দু’জনকে বিবস্ত্র করে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ভয়ে প্রেমিক মেয়েটিকে তিন যুবকের কাছে রেখে টাকা আনতে শহরে চলে যান। তবে ফিরে এসে দেখেন মেয়েটি কান্নাকাটি করছে। সে জানায়, তিন যুবক তাকে জোর করে ধর্ষণ করেছে এবং এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে প্রেমিক স্থানীয় লোকজন ও বন্ধুদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (অপারেশন) জাহাঙ্গীর সেলিম জানান, ইতোমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পলাতক যুবককে আটকে পুলিশি অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীর চিকিৎসা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

