Home » মেহেরপুরে কবরস্থানের জায়গা দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

মেহেরপুরে কবরস্থানের জায়গা দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 77 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

মেহেরপুর সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের প্রাচীন কবরস্থানের জায়গা জোর করে দখলের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা শহিদুল মাস্টার এবং তাঁর ছেলে মোঃ সামসুল ইসলাম রাঙার বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মোঃ সামসুল ইসলাম রাঙা কবরস্থানের উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন ও গাছপালা লুটপাট করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সাল থেকে এখানে গ্রামের মানুষকে দাফন করা শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে জমির মালিক মৃত জহুর হালসানা ওই জমিটি কবরস্থানের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। এরপর ১৯৮০ সালে কবরস্থানের নামে আর এস রেকর্ড হয়। ২০২২ সালে সদর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল মাস্টার কবরস্থানের জমিটি নিজের বলে দাবি করেন। তখন গ্রামের মানুষ কবরস্থানের কাগজ দেখালেও শহিদুল মাস্টার কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। ৫ আগস্ট ক্ষমতা পরিবর্তনের পর শহিদুল মাস্টারের ছেলে মোঃ সামসুল ইসলাম রাঙা কবরস্থান কমিটির এক সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে কোপ দিয়ে গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং কবরস্থানের গাছ কেটে নেন। সেই সময়কার কবরস্থানের কমিটি ভয়ে কিছুই বলতে পারেনি। পরবর্তীতে কবরস্থানের নতুন কমিটি গঠনের পরে তারা সেখানে বেড়া দিলে রাঙা বেড়া তুলে ফেলেন এবং বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি দেন।

সাবেক সভাপতি ইমদাদুল বলেন, “২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি মনোহরপুর ইদগাহ ও কবরস্থানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের কমিটি কবরস্থানের উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কাজ করেছে। কিন্তু মোঃ সামসুল ইসলাম রাঙা নামে একজন ব্যক্তি জাল দলিল করে জমি দখলের চেষ্টা করছে। তিনি আমাদের কমিটির যেকোনো সদস্যকে হুমকি দিয়ে কাজ বাধাগ্রস্ত করছেন।”

বর্তমান সভাপতি আসাদুল জানান, “রাঙা মিয়ার পিতা অতীতে ঘোষণা করেছিলেন যে এই জমিতে আর কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। কিন্তু বর্তমানে রাঙা মিয়া বহু গাছ কেটে ফেলেছেন, কবরস্থানের ঘেরাও ভেঙে দিয়েছেন এবং সম্প্রতি কবরস্থান কমিটির এক সদস্যের হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরেছেন। আমরা কবরস্থানের সঠিক মালিকানা ও শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থাপনার জন্য সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। গতকাল রবিবার সেনাবাহিনী সেখানে বসার কথা ছিল। আমরা গ্রামের শতশত মানুষ উপস্থিত ছিলাম, তবু তারা আসেননি।”

মোঃ সামসুল ইসলাম রাঙা বলেন, “আমাদের সব কাগজপত্র আছে, তবে কোথায় আছে খুঁজে পেতে সময় লাগবে। রবিবার আমার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে ছিল, তাই সেনাবাহিনীর সঙ্গে বসতে পারিনি। আমি কোনো কবরস্থানের গাছ কাটিনি। বরং ওরাই আমার জমির (কবরস্থান) গাছ মেশিন দিয়ে কেটে নিয়ে গেছে। কবরস্থানের জমিটা আমাদের সমঝতায় আসলে দান করে দিতে পারি; জোর করলে একফুটও জমি দেব না।”

গ্রামবাসিদের উদ্বেগ “এই জমিটি একজন দাতা ১৯৭৫ সালে কবরস্থানের জন্য দান করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে এটি স্থানীয় কমিটির তত্ত্বাবধানে ছিল। হঠাৎ করে এমন হুমকি এবং দখলের চেষ্টা পুরো এলাকায় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।”

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.