Home » ভেড়ামারায় তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুর রহমান সোহাগ

৭ হাজার বস্তায় আদা চাষ, কৃষিতে নতুন দিগন্ত

ভেড়ামারায় তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুর রহমান সোহাগ

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 25 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ও মিরপুর উপজেলার খাঁড়ারা এলাকায় তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুর রহমান সোহাগ ৭ হাজার বস্তায় আদা চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। পেশায় তিনি কর্পোরেট মানবসম্পদ কর্মকর্তা ও কমপ্লায়েন্স অডিটর হলেও কৃষিতে গভীর আগ্রহের কারণে তিনি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।আব্দুর রহমান সোহাগ দেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, নীলফামারী, ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন এলাকায় এবং বিদেশে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণ করে কৃষির নতুন প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর তিনি দেশের কৃষি খাতে অবদান রাখতে ও নিরাপদ উৎপাদন নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠা করেন হিসনা এগ্রো ফুড। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই বিসিক নিবন্ধন, ISO-9001 এবং অন্যান্য মানসনদ অর্জন করেছে। চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি মাসে মিরপুর উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠিত কৃষি প্রযুক্তি মেলায় তিনি বস্তায় আদা চাষের ধারণা পান। একই দিনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মতিয়র রহমান তাঁকে উৎসাহ দেন এবং চাষের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন। আব্দুর রহমান সোহাগ জানান, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থেকে উন্নতমানের বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করা হয়। প্রথম ফলন সন্তোষজনক হওয়ায় আগামী বছর ৫০ হাজার বস্তায় আদা চাষের পরিকল্পনা রয়েছে। যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ রবিউল ইসলাম বলেন, “প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বীজ, সার ও প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এরই সুফল হিসেবে আব্দুর রহমান সোহাগ সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৃষি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ও লাভজনক পেশা। খোর-পোষ কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরে শিক্ষিত উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। আব্দুর রহমান সোহাগের মতো তরুণরা ঝুঁকি নিয়ে এমন অর্থকরী ফসল চাষ করছেন, যা আগে আমদানি করতে হতো। প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা দায়িত্বে থাকা সোহবাব হোসেন জানান, বস্তায় আদা চাষ লাভজনক ও টেকসই উদ্যোগ, যা অনাবাদী ও কম আলো পাওয়া জমিতেও সফলভাবে করা যায়। তিনি বলেন, “প্রতি বস্তায় গড়ে ৭০ টাকা খরচে দেড় কেজি পর্যন্ত আদা উৎপাদন সম্ভব, ফলে সাত হাজার বস্তায় চাষ স্থানীয় পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, এই প্রকল্প শুধু স্থানীয় কৃষি উন্নয়ন নয়, বরং তরুণদের কৃষি উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে। এছাড়া, এটি ভবিষ্যতে দেশের কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.