ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় পানিতে ডুবে গেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। বিস্তৃত জলরাশি দেখে মনে হচ্ছে বন্যা কবলিত এলাকা। চলতি মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে জমে থাকা পানির নিষ্কাশন না হওয়ায় নষ্ট হয়েছে আমন ধানসহ নানা ফসল। অনাবাদি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ শ একর জমি। জানা গেছে , বাংলাদেশ-ভারতের মেহেরপুরের সহড়াতলা ও ভারতের নদীয়া জেলার ব্রজনাতপুর সীমান্ত মাঠ একসাথে। প্রতিবছর বৃষ্টির পানি ব্রজনাতপুর অংশের একটি কালভার্ট দিয়ে বের হয়ে যায়। তবে এবার ব্রজনাতপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে কালভার্টটির মুখ আটকে দেওয়ায় পানি বের হতে না পেরে সহড়াতলার মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কালভার্টের মুখ দ্রুত না খোলা হলে আগামী কয়েক ১বছর চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না। এতে লোকসানে পড়বেন সহড়াতলাসহ আশপাশ এলাকার হাজারো কৃষক। উৎপাদন ব্যাহত হবে অন্তত ৫০০ একর জমির ফসল। নীলের মাঠের চাষী রুহুল আমিন বলেন, ভারতের কিছু জনগন কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে মাঠের প্রায় ৫০০ একর জমি পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নষ্ট হয়েছে আমন ধান। চাষী আবুল কাশেম বলেন, প্রায় ২০ বছর পর এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের ব্রজনাতপুর বিএসএফ ক্যাম্পের পাশে সেখানকার কিছু লোক কালভার্টের মুখ বন্ধ করার কারণে মাঠের ফসল তলিয়ে গেছে। দ্রুত কালভার্টের মুখ খোলা না হলে আগামী এক বছর চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না। আরেক কৃষক আক্তারুজ্জামান বলেন, ধান, গম, ভূট্টা, পাটসহ বিভিন্ন ফসল এই মাঠে চাষ হয়। অতি বৃষ্টিতে এমনিতেই ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, এর মধ্যে আবার ভারতের কালভার্টের মুখ বন্ধ করার কারণে ফসল তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশন না হলে বছর খানেক এই মাঠে চাষাবাদ বন্ধ থাকবে। দ্রুত কালভার্টের মুখ খুলে জলাবদ্ধতা নিষ্কাষণের দাবি জানিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হাবিবুর রহমান বলেন, যদি কালভার্টের মুখ খুলে না দেওয়া হয় তাহলে ফসল চাষ ব্যহত হয়ে একদিকে যেমন কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়বে অন্যদিকে দেশে খাদ্যের চাহিদা পূরণে ব্যহত হবে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষটি সম্পর্কে আমরা আবগত হয়েছি। উব্বর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দ্রুত জলাবদ্ধতা নিষ্কাষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট