বিএনপির বিরুদ্ধে প্রবাসী সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসাইনের পরিকল্পিত অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বেলা আড়াইটার সময় চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু।
তিনি বলেন, “চাঁদাবাজ সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতা বিরোধী একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেমেছেন। এর সঙ্গে আমাদের দলেরই একজন নব্য উদিত মনোনয়নপ্রত্যাশী ও তার চাচা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তারা বিশেষ একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “দেশজুড়ে যেখানেই বিএনপির মাঠ ভালো, যেখানেই জয়ের সম্ভাবনা বেশি, সেখানেই একটি দল বিষদাগার করছে। মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। ইলিয়াস বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন প্রচারণা চালাচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলের কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত নেতা। তার ও তার ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দানবীর আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিকের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা ভিত্তিহীন।”
আলোচিত ইউটিউবার ও প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিও প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, “ইলিয়াস ভিডিওটি কাটছাঁট করে সাজিয়েছেন যাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয় এবং টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি হয়। ভিডিওর কোথাও চাঁদাবাজির প্রমাণ নেই। এটি সম্পূর্ণ প্রপাগান্ডা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ইলিয়াস হোসাইনের ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওতে তুলে সব তথ্য অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফুন নাহার রিনা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর ইলিয়াস হোসাইনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘দুই ভাই মিলে বাংলা সিনেমার স্টাইলে চাঁদাবাজি করছে’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যেখানে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয়।