মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রামের একটি বাঁশ বাগান—সেখানে মানুষদের নজরের বাইরে, পড়ে ছিলো সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া এক নবজাতক। জন্মের পর নাভি না বাঁধার কারণে শিশুটি রক্তক্ষরণের শিকার হয় কয়েক ঘন্টা। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের কারনে বাচ্চাটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। দুই দিন ধরে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধে করে বুধবার রাতে মৃত্যু বরন করে ।
স্থানীয়রা গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাগান থেকে সদ্য ভুমিষ্ট কন্যা শিশুটিকে উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে নেওয়া হয় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে হাসপাতালের ইনকিউবেটরে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার (১ অক্টোবর) মধ্যরাতে তার শ্বাসকষ্ট তীব্র হয়ে ওঠে। সব চেষ্টা সত্ত্বেও শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
মেহেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমিনা আক্তার বলেন, “অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের কারনে শিশুটি ভর্তি হবার পর থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।” শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় সমাজ ও মানবতার অবহেলার চিত্র ভাসছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার জীবনের জন্য নিরাপদ আশ্রয় ও মৌলিক চিকিৎসা না পেয়ে এই শিশুটি চলে গেল। আমাদের এয় আধুনিক সমাজে জীবন কতটা তুচ্ছ তার মৃত্যু বুঝিয়ে দিয়ে গেল।