ফেনসিডিল রাখার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো একবছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম নাসিম রেজা এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে— গাংনী উপজেলার করমদি মধ্যপাড়া গ্রামের মোখলেছ আলীর ছেলে জুয়েল, একই গ্রামের সাবেদ আলীর ছেলে স্বপন আলী, আইয়ুব আলীর ছেলে আবেদ এবং জামিরুলের ছেলে টিপু। এদের মধ্যে জুয়েল পলাতক রয়েছে। মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর কুষ্টিয়া সড়কের আকবপুর নামক স্থানে একটি ট্রাক (যার নং— কুষ্টিয়া—ট—১১—২০০৯) তল্লাশি চালিয়ে ৪৬০ বোতল ফেন্সিটির উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ। এসময় স্বপন, আবেদ আলী এবং টিপুকে আটক করা হলেও পালিয়ে যায় পাচারকারী জুয়েল। এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণির ১৪(গ)/৩৮/৪১ ধারায় গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৫, তাং ০৬/০৯/২০১৯ এবং জি আর মামলা নং ২০৩/১৯। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এস আই আব্দুল হান্নান তদন্ত শেষে আদালতের চার্জশিট প্রদান করেন। মামলায় মোট ৮ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। বাদী বিবাদীদের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক ও স্বাক্ষিদের স্বাক্ষ্যে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামী স্বপন আলী, আবেদ আলী, জুয়েল হোসেন এবং টিপু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন। জুয়েল হোসেন পলাতক থাকায় তার আটকের দিন থেকে সাজা শুরু হবে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর এ এস এম সাইদুর রাজ্জাক এবং আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ও আসাদুল আজম খোকন কৌশলী ছিলেন।